মঙ্গলবার, ২৬ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

ঝড় বজ্রপাতে চারজন নিহত লণ্ডভণ্ড শতাধিক ঘরবাড়ি

ঝড়ের সময় বজ্রপাতে নেত্রকোনায় দুই শিশুসহ তিনজন এবং মৌলভীবাজারে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। কুষ্টিয়ায় ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে শতাধিক ঘরবাড়ি। জানা যায়, নেত্রকোনা কলমাকান্দার বিভিন্ন স্থানে গতকাল ঝড়ের সময় বজ্রপাতে দুই শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হল- উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের কৃষক সরাফত (৩৫), হাসনাগাওয়ের মর্জিনা (১১) ও ঝুমা আক্তার। এ সময় আহত হয়েছেন আরো পাঁচজন। মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় হাওরে বজ্রপাতে রশিদ মিয়া (৪০) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকালে একাটুনা ইউনিয়নের একাটুনা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রশিদ রাজনগর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের তেরাসং গ্রামের জমশেদ মিয়ার ছেলে। এদিকে, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। গাছ উপড়ে পড়ে ও ডালপালা ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। রবিবার রাতে দৌলতপুর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এ ঝড়ে বড়গাংদিয়া, আড়িয়া, কামালপুর, কালিদাসপুর ও লালনগরসহ বিভিন্ন এলাকার আম-কাঠালসহ নষ্ট হয়েছে বিভিন্ন ফসল।

খোলা আকাশের নিচে ক্ষতিগ্রস্তরা : জয়পুরহাট প্রতিনিধি জানান, জেলায় শনিবার রাতের ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত অনেক পরিবার খোলা আকাশের নিচে দিনাতিপাত করছেন। জেলা প্রশসনের কার্যালয় থেকে সদর, পাঁচবিবি, কালাই ও আক্কেলপুর উপজেলায় ২২ মেট্রিকটন চাল ও এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে গতকাল পর্যন্ত তা বিতরণ শুরু হয়নি। শহরে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো দুদিন লাগবে বলে জানিয়েছেন জয়পুরহাট বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দে র নির্বাহী প্রকৌশলী ফরিদুল হাসান।

অন্ধকারে লালমনিরহাট : লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, কালবৈশাখী ঝড়ের পর তিন দিন লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। লণ্ডভণ্ড বিদ্যুতের লাইন মেরাতে কর্তৃপক্ষের মধ্যে দেখা গেছে উদাসীনতা। শনিবার মধ্যরাত থেকে গতকাল বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্ধকারে ছিল পুরো জেলা। ফলে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। লালমনিরহাট বিদ্যুৎ প্রকৌশলী আসনাদজ্জামান জানান, রংপুর মিঠাপুকুর এলাকার ৩৩ কেবি পিলার পড়ে গেছে। শনিবার মধ্যরাত থেকে কাজ চলছে। কখন বিদ্যুৎ সচল হতে পারে তা বলা যাচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর