বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

কক্সবাজারে মানবপাচারের অভিযোগে দুইদিনে ৮ জন আটক

কক্সবাজারে মানবপাচারের অভিযোগে দুইদিনে ৮ জন আটক

কক্সবাজার সদর, উখিয়া ও টেকনাফে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পৃথক অভিযান চালিয়ে মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে বৃহস্পতিবার ভোরে আরও তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ নিয়ে দুই দিনে আটজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আটক তিনজন হলেন, উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের লম্বরীপাড়ার খলিলুর রহমান (৩৮), টেকনাফ উপজেলার হারিয়াখালীর সুলতান আহমদের ছেলে আবদুস সামাদ (৩৫) এবং আবদুল হামিদ (৩০)।

কক্সবাজার গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইমন কান্তি চৌধুরী জানান, উখিয়া উপজেলার লম্বরীপাড়া থেকে মানবপাচারের শিকার ব্যক্তিদের ক্ষুদ্ধ স্বজনরা পাচারকারী খলিলুর রহমানকে আটক করে। পরে কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

টেকনাফ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ভোরে একদল পুলিশ উপজেলার হারিয়াখালী এলাকায় অভিযান চালায়। সেখান থেকে মানবপাচারে অভিযুক্ত আবদুস সামাদ ও আবদুল হামিদকে আটক করা হয়।

অপরদিকে গত বুধবার ভোরে র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের সদস্যরা শাহপরী দ্বীপের চিহ্নিত দুই দালালকে কক্সবাজারের ঈদগাঁও থেকে গ্রেফতার করে। র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্প ইনচার্জ মেজর জিয়াউর রহমান জানান, জেলা সদর ঈদগাঁও ইসলামাবাদ খোদাই বাড়ি এলাকায় সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী দলের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালায়। এসময় আত্মগোপনে থাকা মানব পাচারাকরী দলের সক্রিয় সদস্য টেকনাফের শাহপরী দ্বীপ বাজার পাড়ার নুর হাফেজ ও একই এলাকার উত্তর পাড়ার হাসান শরীফকে গ্রেফতার করা হয়। একই দিন সকাল পৌনে ১০ টার দিকে টেকনাফ থানা পুলিশ হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মানবপাচার মামলার আসামি ফকির মোহাম্মদের ছেলে কালা মিয়া (৬০), কালা মিয়ার ছেলে শামসুল আলম (২০) ও শফি আলমকে আটক করে। এছাড়া  টেকনাফ থানার সামনে থেকে সাবরাং হারিয়াখালীর সুলতান আহমদের পুত্র আবদুস সামাদকে আটক করে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়েরের পর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিডি-প্রতিদিন/২৮ মে ২০১৫/ এস আহমেদ

সর্বশেষ খবর