বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

বগুড়ায় আড়াই বছরের শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৩

বগুড়ায় আড়াই বছরের শিশু হত্যার রহস্য উদঘাটন, গ্রেফতার ৩

বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় পিতার সাথে দ্বন্দ্বের জের ধরে আড়াই বছরের পুত্র মিজানকে হত্যা করে লাশ জঙ্গলে ফেলে দেয়া হয়। হত্যাকান্ডের ঘটনায় পুলিশ হাসান আলীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।

জানা যায়, গত ২৫ মে রাতে বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার পোড়াঘাটা থেকে আব্দুল মান্নানের আড়াই বছরের শিশু পুত্র মিজান সাকিদারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরপরই পুলিশ প্রতিবেশি রেবেকা ও তার মা আমেনাকে আটক করে। আটকের পর পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকান্ডের বর্ননা দেয়।

তারা পুলিশকে জানায়, প্রায় ৬ বছর পূর্বে রেবেকাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে হাসান আলী পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করে। কিন্তু রেবেকার বাবা বিয়ে মেনে নেয়নি। এনিয়ে জামাই-শ্বশুরের বিরোধ চলে আসছিল। অপরদিকে শিশু মিজানের বাবা আব্দুল মান্নানের সাথে দেড় বছর পূর্বে একটি ইট ভাটার ইট ভ্যানে করে বহন করা নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়েছিল। হাসান শিশু মিজানকে হত্যা করে লাশ শ্বশুরের ঘুমানোর ঘরে পুঁতে রেখেছিল।

সোমবার বিকেলে হাসান তার শ্বশুর বাড়ীতে যায়। সেখানে মিজানকে অন্য শিশুদের সাথে খেলতে দেখে কৌশলে শিশু মিজানকে ঘরের মধ্যে ডেকে নেয়। এরপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরের ভিতরে গর্ত করে লাশ পুঁতে রেখে ধান দিয়ে ঢেকে দেয়। পরি সুযোগ পেয়ে রেবেকার মা আমেনা ২৬ মে দুপুরে মিজানের লাশ বাড়ীর সামনে খেজুর গাছের নীচে ফেলে দেয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে মিজানের মৃতদেহ পাওয়া যায়। এরপর পুলিশ মিজানের লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন করে। এঘটনায় মিজানের বাবা আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে রেবেকার বাবা ইন্তেজার ও রেবেকার নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করে। এরপর ২৭ মে নিজ বাড়ি থেকে মিজানের ঘাতক হাসান আলীকে তার বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেফতারকৃতরা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এটিএম তোফায়েল আহমেদ এর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করে।

বগুড়ার এএসপি (বি-সার্কেল) গাজিউর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত হাসান শিশু মিজান হত্যার ঘটনা স্বীকার করেছে।

বিডি-প্রতিদিন/ ২৮ মে ১৫/ সালাহ উদ্দীন  


 

সর্বশেষ খবর