শুক্রবার, ২৯ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা
মহাসড়কে মরণফাঁদ

সিরাজগঞ্জে ১১ মাসে ৭০ দুর্ঘটনা, নিহত শতাধিক

সিরাজগঞ্জে ১১ মাসে ৭০ দুর্ঘটনা, নিহত শতাধিক

বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কসহ সিরাজগঞ্জের মহাসড়কগুলো মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। ২২-২৪ মে মহাসড়কের কামারখন্দে তিনটি বড় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৭ জন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক ব্যক্তি। এদিকে, দুর্ঘটনা রোধে সেতুর পশ্চিম পাড় গোলচত্বর থেকে হাটিকুমরুল ১৯ কিলোমিটার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করলে দুর্ঘটনা কমবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। জানা গেছে, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও ঢাকা বিভাগের প্রায় ৩০ জেলার যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে। গড়ে প্রতিদিন ১৪-১৫ হাজার যানবাহন সেতু দিয়ে পারাপার হয়। সেতুর ১৯ কিলোমিটার পশ্চিমে হাটিকুমরুল থেকে রাজশাহী-পাবনা ও বগুড়া-রংপুর মহাসড়কে ভাগ হয়ে যানবাহনগুলো চলে যায়। কিন্তু সব যানবাহনই একযোগে ১৯ কিলোমিটারের এক লেন রাস্তায় চলাচল করে। যে জন্য এ ১৯ কিলোমিটার মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেশি হওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটছে অহরহ। গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ২৪ মে পর্যন্ত ছোট-বড় মিলিয়ে জেলায় ৭০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০২ জন নারী-পুরুষ ও শিশু নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০০ মানুষ। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম গোলচত্বর থেকে নলকা মোড় পর্যন্ত মহাসড়কে ঘটে ১৯টি দুর্ঘটনা। এতে নিহতের সংখ্যা ৪৩, আহত ৯৮। এ ছাড়াও জেলার চারটি মহাসড়কে চলতি মাসে আটটি দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ২৩ জনের। আহত হয়েছেন ৫৩ জন। জানা যায়, সিরাজগঞ্জের মধ্যে ১২০ কিলোমিটার মহাসড়ক রয়েছে। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু সংযোগ মহাসড়কের মুলিবাড়ী রেল ক্রসিং, ঝাঐল ওভার ব্রিজ, কোনাবাড়ী মফিজ মোড়, সীমান্তবাজার, পাচিলিয়া ও নলকা সেনগাঁতী, হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের গোজা ব্রিজ, দবিরগঞ্জ, মহিষলুটী, মান্নাননগর, হামকুড়িয়া এবং বগুড়া-রংপুর-পাবনা মহাসড়কের সাহেবগঞ্জ, ঘুড়কা বেলতলা, ভূইয়াগাতি, ষোলমাইল, চান্দাইকোনা, বোয়ালিয়া, পূর্বদেলুয়া, শ্রীকোলা মোড়, তালগাছী ও শাহজাদপুর দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম।

সর্বশেষ খবর