শুক্রবার, ২৯ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

নোয়াখালীতে বাড়িছাড়া ২০ পরিবার, আতঙ্কে শতাধিক

নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের লালানগর গ্রাম ও কিল্লারহাট বাজারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ২০ পরিবার বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ঘটনার তিন দিন পরও ওই এলাকার শতাধিক পরিবারে বিরাজ করছে আতঙ্ক। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এসব পরিবারের সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কিল্লাহাট বাজারে পুলিশ পাহারা থাকলেও সন্ত্রাসীদের ভয়ে লোকানপাট খুলছেন না ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, লালানগর গ্রাম ও কিল্লারহাট বাজারে দীর্ঘদিন ধরে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা চাঁদাবাজি, মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। কয়েক মাস আগে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে বাঁচার জন্য স্থানীয়রা সংগঠিত হয়ে প্রতিরোধ কমিটি গঠন করেন। এ নিয়ে সন্ত্রাসীদের সঙ্গে তাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। গত মঙ্গলবার রাতে কিল্লাহাট বাজারে দুই পক্ষে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় এক স্কুলছাত্র নিহতসহ কয়েকজন আহত হন। এরপর থেকে লালানগর গ্রাম ও কিল্লারহাট বাজারে দফায় দফায় হামলা ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বহু পরিবার। ওই দিন থেকে বন্ধ রয়েছে কিল্লারহাট বাজারের শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ ব্যপারে সুধারাম থানার ওসি আনোয়ার জানান, লালানগর ও কিল্লাহাট বাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে পুলিশ পাহারা রয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও ব্যবসায়ীদেরকে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে আসতে শুরু করেছে।

মুন্সীগঞ্জে ২৫ পরিবারকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার শ্যামসিদ্ধি ইউনিয়নে লিজকৃত জমি থেকে ২৫ পরিবারকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছেন প্রভাবশালীরা। ইতোমধ্যে একটি পরিবারের বসতঘর দখল করে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা জানান, সরকারি জমি লিজ নিয়ে সেখানে বাড়িঘর বানিয়ে ৩৫-৪০ বছর ধরে বসবাস করছেন অসহায় ২৫টি পরিবার। তাদের দেওয়া সর্বশেষ লিজ নবায়ন করা হয়েছে ২০০৯ সালে। কিন্তু সম্প্রতি আবদুর রব, আবদুল্লাহ, নূরু মিয়া ও শাহিনসহ কয়েকজন ২০১০ সালে ওই জমি লিজ নিয়েছেন দাবি করে পরিবারগুলোকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছেন। ভুক্তভোগী লিপি বেগম বলেন, 'বসতঘর দখল করে আমাদের বের করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবাদ করতে গেলে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। আমার পরিবার নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছি।' ভুক্তভোগী কমলা বেগম জানান, এখানে ২৫/৩০টি পরিবার বসবাস করে আসছে। এই জমি হারিয়ে গেলে আমাদের পথে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না। অভিযুক্ত আবদুর রব জানান, তারা সরকার থেকে নেওয়া লিজকৃত জমি বুঝে নিয়েছেন মাত্র। শ্রীনগর সহকারী ভূমি কর্মকর্তা রমেন্দ নাথ বিশ্বাস বলেন, 'ঊধর্্বতন কর্মকর্তারা কিভাবে লিজকৃত জমি আরেকজনের নামে লিজ দিয়েছেন এ বিষয়ে আমার জানা নেই।'

সর্বশেষ খবর