শনিবার, ৩০ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা
কুষ্টিয়ায় চাল সংগ্রহ অভিযান

নেতারা 'হাসিমুখ' নন বলে ক্রয়চুক্তি স্বাক্ষরে বিলম্ব

নির্ধারিত সময়ের প্রায় এক মাস গত হলেও কুষ্টিয়ায় বোরো চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ৩১ মের মধ্যে চাল কেনার জন্য চুক্তি সই করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত একটি চুক্তিও হয়নি। চুক্তি স্বাক্ষরে বিলম্ব ঘটার কারণ নেতারা এখনো 'হাসিমুখ' নন। অভিযোগ উঠেছে, দলের নেতারা মিল মালিকদের কাছে কেজিপ্রতি ২ টাকা কমিশন চাইছেন। মালিকরা দিতে চান ১ টাকা ৭৫ পয়সা। এ নিয়ে সংগ্রহ অভিযানে জটিলতা চলছে। চলতি বোরো মৌসুমে কুষ্টিয়া জেলায় মোট ২৩ হাজার ৩০০ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলা থেকেই ১৮ হাজার ৭৫ টন চাল সংগ্রহ করা হবে। চাল সংগ্রহ করতে চালকল মালিকদের সঙ্গে জেলা খাদ্য বিভাগের চুক্তি করার কথা ১ মে থেকে ৩১ মের মধ্যে। একাধিক মিল মালিক অভিযোগ করে বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা তাদের মনোনীত লোকদের কাছ থেকে ৫ হাজার টন চাল কেনার জন্য প্রথমে জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি করেন। জেলা প্রশাসক রাজি হননি। খাজানগর এলাকায় ব্যবসা করেন এমন চারজন মিল মালিকের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, নেতারা চালের ভাগ না পেয়ে কমিশন দাবি করেন। চাল মিল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল মজিদ বাবলু ও সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আলী সব মিলারকে ডেকে গত মঙ্গলবার মজমপুর গেটে ট্রাক মালিক সমিতির অফিসে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে কেজিপ্রতি ১ টাকা ২৫ পয়সা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। নেতারা এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন। খাজানগর এলাকায় ব্যবসা করেন এমন এক অটো মিল মালিক অভিযোগ করে বলেন, '১৮ হাজার ৭৫ টনে ১ কোটি ৮০ লাখ ৭৫ হাজার কেজি চাল হয়। কেজিতে ২ টাকা করে দিলে নেতাদের দিতে হবে ৩ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ফুড অফিসকে 'হাসিমুখ' করতে আলাদা টাকা দিতে হয়। ব্যবসায়ীরা যখন একটু লাভ করেন তখন তাদের গলা চেপে ধরেন নেতারা।

সর্বশেষ খবর