কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইয়াকুব আলী (৫৮) নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আজ শনিবার বিকালে গাজীপুরের টঙ্গীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।
ইয়াকুব আলী উপজেলার কেয়ারী গ্রাম আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত. বজলুর রহমানের ছেলে।প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানায়, গত ২৯ জুন বিকেলে উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়নের কেয়ারী গ্রামে শসা কেনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ছাত্রলীগ কর্মী হারুনুর রশিদ বাবুর সঙ্গে একই গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে ওসমান গনির হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার জের ধরে ওইদিন সন্ধ্যায় বাবুর পক্ষ নিয়ে কেয়ারী এলাকার ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুকের নেতৃত্বে ৮/১০ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ওসমানের পিতা সেলিম মিয়ার ঘর, সেলিম মিয়ার ভাই ইয়াকুব আলী ও চাচাতো ভাই সিরাজ মাষ্টারের ঘর ভাংচুর করে। এ সময় তাঁদের বাধা দিলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াকুব আলী ও তাঁর চাচা ফজলুর রহমানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে।
পরে স্থানীয়রা আশংকাজনক অবস্থায় আহতদের প্রথমে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। সেখানে নেওয়ার পর অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে টঙ্গীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করে পরিবারের সদস্যরা। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকাল ৩টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
ইয়াকুব আলীর ছোট ভাই আবু ইউসুফ বলেন, তুচ্ছ একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে।
উপজেলার বাইশগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নিহত ইয়াকুব আলী কেয়ারী গ্রাম আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা ওমর ফারুক বলেন, সামান্য একটি বিষয় নিয়ে হামলা ও মারামারি হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এ ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।
এ প্রসঙ্গে মনোহরগঞ্জ থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, ৩-৪ দিন আগে মারামারিতে ইয়াকুব আলী আহত হয়েছিলেন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
