রবিবার, ৫ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

বিনা বরাদ্দে সরকারি বাসা বিধি লঙ্ঘন করে চাকরি

নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দেড় যুগ ধরে বিনা বরাদ্দে ভাড়া ছাড়া সরকারি বাসা ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অনেক কর্মচারী দেড় যুগের অধিক, কেউ দুই যুগ আবার কেউ তিন যুগ ধরে একই কর্মস্থলে চাকরি করছেন বলেও জানা গেছে। ফলে দিন দিন বাড়ছে স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম আর দুর্নীতি। একই স্থানে চাকরির সুযোগে সিন্ডিকেট তৈরি করে অনিয়মকে নিয়মে পরিণত করেছেন তারা।

জানা গেছে, হাসপাতালের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) লাইলী বেগম প্রায় তিন যুগ ধরে ধামইরহাটে চাকরি করছেন। নার্স বিলকিছ বানু ২৯ বছর, স্বাস্থ্য সহকারী শাহাদাত হোসেন ৩২ বছর, হাসপাতালের প্রধান সহকারী আনোয়ার হোসেন প্রায় ১৩ বছর একই কর্মস্থলে আছেন। এক জায়গায় যুগের পর যুগ চাকরি করার কারণে নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মচারীরা। রোগীসহ স্বজনের সঙ্গে দুর্ব্যবহার তাদের নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, এমএলএসএস রিয়াজ উদ্দীন ১৯৯৪ সালে চাকরিতে যোগদানের পর থেকে প্রায় ১৯ বছর ধরে বরাদ্দ ছাড়া সরকারি বাসায় বসবাস করেছেন। এছাড়া ল্যাবরেটরি সহকারী সফুরা বেগম ৫ বছর, ইপিআই টেকনিশিয়ান সাইদুর রহমান দুই বছর, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট তরিকুল দুই বছর, কম্পাউন্ডার আনন্দ কুমার এক বছর, অফিস সহকারী ইসমত আরা দুই বছর ধরে বিনা ভাড়ায় ব্যবহার করছেন সরকারি বাসা। এতে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

এ ব্যাপারে ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. গঙ্গা গোবিন্দ পাল জানান, সরকারি কোয়ার্টারে আগে যারা যেভাবে বসবাস করছিলেন এখনো তারা সেভাবে বসবাস করছেন। সেটা সরকারি নিয়মের মধ্যে পড়ছে কিনা জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান। নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. একেএম মোজাহার হোসেন বলেন, সরকারি চাকরি বিধিমালা অমান্য করে বরাদ্দ ছাড়া সরকারি বাসভবন কেউ ব্যবহার করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যুগের পর যুগ যারা একই কর্মস্থলে চাকরি করছেন তাদের বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনিয়ম আর দুর্নীতিবাজ কর্মচারীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

 

সর্বশেষ খবর