সোমবার, ৬ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

বাগেরহাটে ডাক্তার ও নার্সের অবহেলায় গৃহবধূর মৃত্যু

বাগেরহাটে ডাক্তার ও নার্সের অবহেলায় গৃহবধূর মৃত্যু

বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রাজৈর গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম হাওলাদারের সন্তান সম্ভাবনা স্ত্রী রুবি আক্তার (৩৫) চিকিৎসকদের অবহেলায় মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

আজ সোমবার দুপুরে গৃহবধুর চিকিৎসা না করেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর (রেফার) করার পর পথিমধ্যে রূপসা এলাকায় মারা যায় গৃহবধূ রুবি।

পরিবারের অভিযোগ, রবিবার রাত অনুমান ১২ টার দিকে রুবির প্রসব বেদনা শুরু হলে একই এলাকার বাসিন্দা রুবির বড় ভাই খোকন তালুকদারের সহায়তায় উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন রাত ২ টা। কিন্তু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কোন ডাক্তার নেই। ঘুম থেকে কর্তব্যরত নার্সকে ডেকে তুলেন রোগীর স্বজনরা কিন্তু তাতেও কোন কাজ হয় না। ডাক্তারদের মোবাইল বন্ধ। আবাসিক বাস ভবনের মূল গেটে তালা, আবহাওয়াও বৈরী। সাথে থাকা স্বজনদের সামনে যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকে রুবি। রাত ২ টা থেকে সকাল ১০ টা পর্যন্ত টানা ১০ ঘন্টা হাসপাতালের ফ্লোরে কাটে রুবির।

এখবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা সকাল ১১ টার দিকে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ অসীম কুমার সমাদ্দারকে বিষয়টি জানালে তিনি ওই গৃহবধুর চিকিৎসা না করেই খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর (রেফার) করে। কিন্তু পথিমধ্যে খুলনার রূপসা এলাকায় মারা যায় গৃহবধূ রুবি।

নিহত রুবির ভাই ও তার স্বজনরা অভিযোগ করেন, নার্স ও ডাক্তারদের অবহেলার কারনে অকালে মৃত্যু ঘটেছে রুবি। তারা রুবির এই অকাল মৃত্যুর জন্য দায়ী চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।

শরণখোলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ অসীম কুমার সমাদ্দার মুঠোফোনে জানান, হাসপাতালে কোন রোগী এলে ডাক্তার না থাকলেও নার্সদের দায়িত্ব ডাক্তারদের কল করা কিন্তু মুমুর্ষ ওই গৃহবধূর বিষয়টি কেউ তাকে অবহিত করেনি।

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডাঃ বাকির হোসেন মুঠোফোনে জানান, চিকিৎসা ছাড়া প্রসব বেদনায় গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

বিডি-প্রতিদিন/ ০৬ জুলাই ১৫/ সালাহ উদ্দীন  
  
 


 

সর্বশেষ খবর