মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

চকরিয়ায় ছয় লাখ মানুষ পানিবন্দী

* ফেনীতে নতুন এলাকা প্লাবিত * নোয়াখালীতে জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ * সোনারগাঁয়ে মানবেতর জীবন

চকরিয়ায় ছয় লাখ মানুষ পানিবন্দী

পানিবন্দী সোনারগাঁ উপজেলার ভারগাঁও এলাকা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলা ভাসছে বানের পানিতে। ঘরচাপা ও পানিতে পড়ে শিশুসহ চারজন মারা গেছেন। এরা হলেন- চকরিয়ার উত্তর মানিকপুরের আনোয়ার হোসেন, পৌরসভার ভরামুহুরীর ভাড়াটিয়া জাহাঙ্গীর আলমের এক বছর বয়সী ছেলে আলভী হোসেন, খুঁটাখালীর রোকেয়া খাতুন ও লামা উপজেলার চম্পাতলী এলাকার অং চু তুই মারমা। পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে এ দুই উপজেলার ৭০০ বসতঘর। আংশিক ক্ষতি হয়েছে কয়েক হাজার ঘর। পানির নিচে চলে গেছে একটি পৌরসভা ও ২৫টি ইউনিয়নের ৮০ ভাগ ঘরবাড়ি। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন অন্তত ৬ লাখ মানুষ। বিভিন্ন সড়কের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ অচল হয়ে পড়েছে। দুই উপজেলার সরকারি-বেসরকারি ৫০০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে। খাবার ও পানীয় জলের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে।  ফেনী : ফেনী প্রতিনিধি জানান, টানা বর্ষণে ছোট ফেনী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর, সিন্দুরপুর ও জায়লস্কর ইউনিয়নের ৩০ গ্রাম ও সদর উপজেলার শর্শদি, পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এদিকে উজানের ঢল-বৃষ্টিতে মুহুরী ও কহুয়া নদীর পাঁচটি স্থানে ভাঙনের ফলে ফুলগাজীর ১৫ গ্রাম তলিয়ে গেছে। হাজার হাজার পুকুর ও মাছের ঘের ভেসে গেছে। টানা বর্ষণে তৃতীয় দিনের মতো পানিবন্দী রয়েছে ফেনী শহরবাসী। শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক ও একাডেমি সড়কে হাঁটু পানি থাকায় যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। এ ছাড়া ডা. হায়দার ক্লিনিক সড়ক, রামপুর ভূঞা বাড়ি সড়ক, কলাবাগান, শান্তি কোম্পানি সড়কসহ শহরের বিভিন্ন সড়ক প্লাবিত হয়েছে।
নোয়াখালী : নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান, দুই দিনের ভারী বর্ষণে নোয়াখালী পৌরসভার বিস্তীর্ণ এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ড্রেনেজ অব্যবস্থাপনার কারণে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জেলাশহর মাইজদী, লক্ষ্মীনারায়ণপুর সড়ক ও রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ সড়কসহ বিভিন্ন সড়ক এখন পানির নিচে। দেখা দিয়েছে গবাদিপশুসহ গৃহপালিত পশু-পাখির খাবার সংকট। সোনারগাঁ : সোনারগাঁ প্রতিনিধি জানান, টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়নের ১০ গ্রামের পাঁচ শতাধিক পরিবার পানিবন্দী। তারা এখন খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। পানিতে ভেসে গেছে বহু মাছের খামার। বন্ধ হয়ে গেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। গৃহপালিত পশু ও হাঁস-মুরগি নিয়ে অনেকে আশ্রয় নিয়েছেন উঁচু সড়কের ঢালে।

সর্বশেষ খবর