বুধবার, ২৯ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু!

ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু!

ভুল চিকিৎসায় সুলতানা খাতুন (২৫) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে মৃতের পরিবার দাবি করেছে। মঙ্গলবার রাতে বীরগঞ্জ শহরের বীরগঞ্জ ক্লিনিক নামক বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।

সুলতানা খাতুন দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের পুর্ব দাড়িয়াপুর গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী।

এদিকে, রাত ১১টায় মৃতদেহ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে করে নিহতের বাড়ি নিজপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব দাড়িয়াপুর গ্রামে নিয়ে গেলে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী অ্যাম্বুলেন্সটি আটক করে রাখে। উভয়পক্ষের মধ্যে সমঝোতার চেষ্টা চলছে।

নিজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল খালেক সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নিতে পরিবারকে পরামর্শ প্রদান করেছি।

নিজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. দিনার উদ্দিন জানান, উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের পুর্ব দাড়িয়াপুর গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেনের গর্ভবতী স্ত্রী সুলতানা খাতুন (২৫)-কে চিকিৎসকের পরামর্শে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় বীরগঞ্জ শহরের বীরগঞ্জ ক্লিনিক নামক বেসরকারী চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি করায়। রাত ৭টায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করার পর রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ অ্যাম্বুলেন্স যোগে রোগীকে দিনাজপুর নিয়ে যায়। পরে ৮টায় রোগীর পরিবারকে মৃত্যুর সংবাদ দেয়।

মৃত সুলতানা খাতুনের স্বামী মো. আনোয়ার হোসেন জানান, আমার স্ত্রী হেঁটে হেঁটে বাড়ি থেকে পাকা সড়কে এসে গাড়ি করে বীরগঞ্জে আসে। তার অবস্থা একেবারে স্বাভাবিক ছিল। সন্ধ্যা ৭টায় রোগীকে অপারেশ থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত চিকিৎসক বলেছেন আপনার রোগীর অবস্থা ভালো। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর অপারেশন থিয়েটার থেকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সরাসরি অ্যাম্বুলেন্সে আমার স্ত্রীকে দিনাজপুর নিয়ে যায়। গাড়িতে আমাদের পরিবারের কাউকে সাথে নিতে দেয়নি তারা। রোগীর শারীরিক অবস্থা আমাদের অবহিত না করেই দ্রুত দিনাজপুর নিয়ে গিয়ে পরে আমাদের জানানো হয় রোগীর মৃত্যু সংবাদ। পরে আমি নার্সদের সাথে কথা বলে বুঝতে পারি আমার স্ত্রী অপারেশন থিয়েটারেই মারা গেছে। অস্ত্রোপচারের ভুলের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

ক্লিনিক মালিক মো. বেলাল হোসেন জানান, ডা. মাসতুরা বেগম প্রসূতি সুলতানা খাতুনের সিজার করেন। রোগী দুর্বল থাকার কারণে অবস্থার অবনতি হতে থাকে। আমরা রোগীকে দ্রুত জিয়া হার্ট ফাউন্ডেশনে নিয়ে যাই। সেখানে রোগী চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৮টায় মারা যায়। তবে শিশুটি সুস্থ আছে।

উল্লেখ্য, নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে বীরগঞ্জ উপজেলার সদরে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে ৪টি ক্লিনিক। ক্লিনিকগুলির অবকাঠামো, চিকিৎসা সেবা নিয়ে অভিযোগ থাকলেও কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।
 

 


বিডি-প্রতিদিন/ ২৯ জুলাই, ২০১৫/ রশিদা

সর্বশেষ খবর