বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

উখিয়ায় কোমেনের তাণ্ডবে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, আহত ২৪

উখিয়ায় কোমেনের তাণ্ডবে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, আহত ২৪

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বুধবার রাত থেকে মষুলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সেই সাথে ঘূর্ণিঝড় কোমেনের তাণ্ডবে প্রায় শতাধিক কাঁচা বসত বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ঘর ও গাছ চাপা পড়ে আহত হয়েছেন ২৪ জন। উপজেলা প্রশাসন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবল থেকে রক্ষা পেতে জনগণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছে। নির্বাহী অফিসার বলছেন, লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য উপকূলীয় এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। 

উপজেলার পালংখালী, থাইংখালী, বালুখালী এলাকার স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এসব এলাকার প্রায় ২ হাজার একরেরও অধিক চিংড়ি ঘের পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পালংখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গফুর উদ্দিন চৌধুরী জানান, তার এলাকায় অসংখ্য বসত বাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে ১৯ জন নারী, পুরুষ, শিশু আহত হয়েছেন। এর মধ্যে রহমতের বিল গ্রামে একই পরিবারের ৪ জনকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া পানের বরজ, বীজতলাসহ ব্রিজ, কালভার্ট ও ২০ কিলোমিটারেরও অধিক ব্রিক সলিং গ্রামীণ সড়ক লণ্ডভণ্ড হয়ে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। এসব এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ার কারণে প্রায় ৮টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানান, তার ইউনিয়নে ২০টিরও অধিক কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে এক শিশুসহ অন্ততপক্ষে ৫ জন। এছাড়াও প্রায় ১৪ কিলোমিটার গ্রামীণ সড়ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার কারণে গ্রামীণ জনপদে দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েছে। তবে এসব এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর তালিকা প্রণীত হচ্ছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

পালংখালীর ইউপি সদস্য হামিদ হোসেন সাগর জানান, ঠিকাদারের কামখেয়ালীপনার কারণে বটতলী হয়ে ফারির বিল এলাকায় নির্মাণাধীন কার্পেটিং সড়কটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়াও পালংখালী থেকে তেলখোলা ব্রিক সলিং সড়কের বিভিন্নস্থানে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার কারণে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

বিডি-প্রতিদিন/৩০ জুলাই, ২০১৫/মাহবুব

সর্বশেষ খবর