শুক্রবার, ৩১ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

জনশূন্য রূপদাহ গ্রামে লুটপাট

জনশূন্য রূপদাহ গ্রামে লুটপাট

ঘরের দরজা-জানালাও খুলে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা

মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ উপ-নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় খুন হন আওয়ামী লীগ কর্মী নান্নু শেখ। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি হামলা এবং হত্যামামলায় গ্রেফতার আতঙ্কে এখন জনশূন্য সদর উপজেলার রূপদাহ গ্রাম। আর এ সুযোগে চলছে লুটপাট। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রূপদাহ গ্রামে কোনো জনমানবের চিহ্ন নেই। পিনপতন নীরবতা পুরো এলাকায়। বেশির ভাগ বাড়ির দরজা-জানালা খুলে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। কোনো কোনো ঘরের আসবাবপত্র এমনকি শোয়ার বিছানাও লুট করা হয়েছে। পাশের সুন্দরপুর গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানেও অনেককে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যামামলার আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি নিহত নান্নু শেখের সমর্থকরা আসামিদের বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে এলাকা ছাড়া করেছেন। রূপদাহ গ্রামের সুনাভান নেছা বলেন, আমরা এলাকায় থাকতে পারছি না। ঘরবাড়িতে যা ছিল সব নিয়ে গেছে। পানির কল পর্যন্ত নেই। একই গ্রামের হাজেরা বিবি বলেন, আমার গোয়ালে ছয়টা গরু ছিল- সব নিয়ে গেছে। আমরা পাশে পাট খেতের মধ্যে ছিলাম। আপনাদের দেখে সাহস পেয়ে বাড়িতে এলাম।' একই অভিযোগ করেন, গৃহবধূ জেসমিন আরা, চম্পা বেগমসহ অনেকে। মাগুরা পুলিশ সুপার এএসএম আহসান উল্লাহ জানান, ঘটনার পর ওই এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্প করে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সেখানে নিয়মিত টহল দিচ্ছে। ২৮ জুলাই কমিউনিটি পুলিশিংয়ের মিটিং করে সবাইকে নিজ নিজ বাড়ি ফেরার আহ্বান জানিয়েছি। পাশাপাশি হত্যায় জড়িত ও লুটপাটকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদের চেয়াম্যান পদে উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রুস্তুম আলীর পক্ষে সালাম হাজির সমর্থকরা এবং জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু নাসির বাবলুর হয়ে কাজ করেন নান্নু শেখের লোকজন। নির্বাচন শেষে জয়-পরাজয় নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। ২৪ জুলাই ভোরে নান্নু তার সমর্থকদের নিয়ে রূপদাহ গ্রামে সালামের বাড়িসহ বেশকিছু বাড়িতে হামলা ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে আক্রান্তরা সংঘবদ্ধ হয়ে নান্নুকে এলোপাতাড়ি কোপালে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। এ সময় হামলা-পাল্টা হমলায় উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হন।

 

সর্বশেষ খবর