শনিবার, ১ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

হাতিয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ১৫ গ্রাম প্লাবিত

হাতিয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ১৫ গ্রাম প্লাবিত

নোয়াখালী হাতিয়ার নলচিরা ও চরঈশ্বর ইউনিয়নের বেড়িবাধ ভেঙ্গে স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ফুট উচ্চতায় জোয়ারের পানিতে শনিবার দুপুরে ১৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়। এ নিয়ে বন্যার পরিস্থিতি আরো অবনতি ঘটছে।

এদিকে নোয়াখালীতে ১০ দিনের টানা ভারী বর্ষণ ছোট ফেনী নদী এবং কুমিল্লার নাঙ্গলকোর্ট থেকে ভারতের ধেয়ে আসা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে জেলার ৮টি উপজেলার শত শত গ্রাম। এরই মাঝে বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় কোমেনের প্রভাবে ভারী টানা বৃষ্টি হওয়ায় এবং বন্যার ধেয়ে আসা পানিতে বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি ঘটেছে।

জেলা শহর মাইজদী, নোয়াখালী পৌরসভার লক্ষ্মীনারায়ণপুর, জামে মসজিদ সড়ক, ইসলামিয়া সড়কের রেসিডিন্সিয়াল স্কুল সড়ক, সুবর্ণচর উপজেলা, সোনাইমুড়ী, সেনবাগ উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও সেনবাগ পৌরসভার সব কটি গ্রামের অবস্থা নাজুক। সুবর্ণচর উপজেলার সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর জমির আমন ধানের সকল বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। বেকার হয়ে পড়েছে কৃষক।

এ সময় এলাকার অনেকে বাড়িতে তালা দিয়ে অন্যত্রে চলে গেছে। বন্যার পানিতে বাড়ি ঘর রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যাওয়ায় কার্যত ভেঙ্গে পড়েছে গ্রামীন যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে লাখ লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাড়ি থেকে বের হচ্ছেনা।

এ দিকে অনেকের রান্নার ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় কেউ কেউ শুকনো খাবার খাচ্ছে আবার অনেকে ইট দিয়ে থাকার ঘরে অস্থায়ী চুলা তৈরী করে রান্নার ব্যবস্থা করছে। এ দিকে নয়টি উপজেলার ২৬৫ গ্রামের ২২লাখ ২শ' ২৩ জন ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের মধ্যে সরকারি ভাবে মাত্র এ পর্যন্ত নগদ এক লক্ষ বার হাজার টাকা ও ৭১ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়। কিন্তু যা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। বন্যা দুর্গতের মাঝে খাদ্য ও বিশুব্ধ পানি সংকট দেখা দিয়েছে প্রকট ভাবে।

 
বিডি-প্রতিদিন/ ০১ আগস্ট ১৫/ সালাহ উদ্দীন  



 

সর্বশেষ খবর