সোমবার, ৩ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতির দিকে

ফাইল ছবি

ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতি ১০দিনের মাথায় কিছুটা উন্নতির দিকে রয়েছে। রবিবার থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যার পানি প্রায় ৩ইঞ্চি নীচে নেমে এসেছে। তবে এখনও বন্যা কবলিত ৮০টি গ্রামের সড়কে হাঁটু পানি ও বাড়ির উঠানে কোমর পর্যন্ত পানি রয়েছে। এদিকে ফুলগাজীতে মুহুরী ও কহুয়া নদীর পানি এখনও প্রবেশ করছে লোকালয়ে।

বন্যার পানিতে ফেনী সদর ও দাগনভূঞা উপজেলার প্রায় সাড়ে ৭শ' হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে বোরো ধানের চারা ও বিভিন্ন রবি শষ্য। পানিতে ভেসে গেছে সহাস্রাধিক মৎস খামারের কয়েক কোটি টাকার মাছ। বন্ধ রয়েছে দুই উপজেলার ৫০ এর অধিক বিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম। দীর্ঘদিন ধরে সড়কে পানি জমে থাকায় বিভিন্ন স্থানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় খানাখন্দের। যানচলাচল করতে গিয়ে শিকার হতে হচ্ছে দুর্ঘটনার।

রবিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ভ্রাম্যমান আদালত ছোট ফেনী নদীর ১৮টি স্থান থেকে অবৈধ ভাবে দেয়া মাছ চাষের বাঁধ ভেঙ্গে ফেলার পর থেকে পানি কিছুটা নামতে শুরু করেছে।

ফেনী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক সিরাজুল ইসলাম জানান, ২-৪দিনের মধ্যে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে এই মাসের শেষের দিকে আরো বেশি বৃষ্টিপাত হবে বলে ঢাকা অফিস সূত্রে জানা গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী রমজান আলী প্রমানিক জানান, বৃষ্টিপাত বন্ধ থাকলে ২-৩ দিরে মধ্যে দাগনভূঞা ও সদর উপজেলার বন্য পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এছাড়া মুহুরী ও কহুয়া নদীর পানি এখনও নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করছে। পুরোপুরি বন্ধ হওয়ার পর বাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।

ফেনী সদর ও দাগনভূঞা উপজেলায় বন্যাদুর্গতদের জন্য ২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হলেও ৯টি বিদ্যালয়ে শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ৮৫ টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া শুকনো খাবার বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।

 

বিডি-প্রতিদিন/০৩ আগস্ট ২০১৫/ এস আহমেদ

সর্বশেষ খবর