রবিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

কারামুক্ত কিশোরের আকুতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

কান্নাজড়িত কণ্ঠে সদ্য কারামুক্ত রাঙ্গুনীয়ার এক কিশোর অভিযোগ করেছে, পুলিশ তাকে থানায় আটকে রেখে ইলেকট্রিক শক দিয়েছে। মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। নিজের বোনকে ধর্ষণ করার কথাও বলতে বলেছে। কিন্তু মারধরের পরও পুলিশ তার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিতে পারেনি। তবে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে তার মায়ের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে। প্রায় তিন মাস পর কারামুক্ত হয়ে গতকাল সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে কাঁদতে কাঁদতে এসব অভিযোগ করে এই কিশোর। পুলিশ নিজের বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছিল। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মা, ছোট ভাই ও বোনও এ সময় কান্না ধরে রাখতে পারেনি। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, রাঙ্গুনীয়ায় মিনাগাজীর টিলা এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী শাহ আলম তার প্রতিবেশী ১৩ বছর বয়সী এক বালিকাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। পরে দরিদ্র পরিবারের শিশুটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে তার মাকে চাপ সৃষ্টি করে গর্ভপাত ঘটানো হয়। ৭ মে রাতে শিশুটির মা থানায় শাহ আলমকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ করলে পরদিন রাতে শাহ আলমকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ওই রাতেই শাহ আলমকে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ। ৯ মে বাদিনীর আগের অভিযোগ ছিঁড়ে ফেলে নতুন করে সাদা কাগজে জোর করে স্বাক্ষর নেয় পুলিশ। এতে শাহ আলমের নাম বাদ দেওয়া হয়। পরে বাদিনীর ১৪ বছরের ছেলে ওই কিশোরকে আটক করে নিজের বোনকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে চালান দেয় পুলিশ। গত ২ মে ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির‌্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ রাঙ্গুনীয়া থানার ওসি এবং এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়–য়া একটি রিট আবেদন করলে ২৫ মে হাইকোর্ট শাহ আলমকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর