সোমবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

আমন চুরির হিড়িক রাত জেগে পাহারা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

আমন চুরির হিড়িক রাত জেগে পাহারা

রাতে থাকার জন্য জমির মাঝখানে পলিথিন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী ঘর। ছবিটি গতকাল পার্বতীপুরের চণ্ডিপুর ইউনিয়নের কালিকাবাড়ী থেকে তোলা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

দিনাজপুরের সব উপজেলায় শুরু হয়েছে আমন ধান কাটা-মাড়াই মৌসুম। এ সময়টায় কৃষকের মধ্যে বিপুল উত্সাহ-উদ্দীপনা থাকলেও এবার তাদের সে আনন্দ কাটা পড়ছে আমন খেতে চোরের হানায়। পার্বতীপুরের কয়েকটি এলাকায় জমি থেকে প্রায় প্রতিদিন চুরি যাচ্ছে পাকা-আধপাকা ধান। চোরের হাত থেকে কষ্টের ফসল রক্ষায় রাত জেগে খেত পাহারা দিচ্ছেন কৃষকরা।

পার্বতীপুর উপজেলার বেলাইচন্ডি ইউনিয়নের বক্ষ্মতল সোনাপুকুর, মোমিনপুর ইউনিয়নের মাছুয়াপাড়া, রামপুর ইউনিয়নের হুগলীপাড়া, চণ্ডিপুর ইউনিয়নের কালিকাবাড়ী ডাঙ্গাপাড়া, নয়াপাড়া, দক্ষিণ শালন্দার, হাবড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর, মনমথপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এবং শহরের নয়াপাড়া। এসব গ্রামে দেখা গেছে চোরের হাত থেকে ধান চুরি ঠেকাতে খেতে পাহারার ব্যবস্থা করেছেন কৃষকরা। জমির মাঝখানে রাতে থাকার জন্য পলিথিন কিংবা খড় দিয়ে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী ঘর। স্থানীয় ভাষায় এটিকে বলা হয় ‘ধুরা’। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে কৃষকরা ধান খেত পাহারা দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ছুটে যান মাঠে। তাদের হাতে টর্চ, লাঠি-বল্লম ও শীতবস্ত্র। রাত যত গভীর হতে থাকে মাঠে মাঠে ধান খেতে পাহারারত মানুষের হাঁকডাক আর টর্চের বিক্ষিপ্ত আলোর বিচ্ছুরণ পরিলক্ষিত হতে থাকে।

চন্ডিপুর ইউনিয়নের কালিকাবাড়ী ডাঙ্গাপাড়ার সিরাজুল মাস্টার ও আব্দুর রজ্জাকসহ কয়েক কৃষক জানান, ইরি মৌসুমে কৃষকরা আবাদি ফসল জমি থেকে তুলে বা কেটে সরাসরি বাড়ি নিয়ে আসেন। কিন্তু আমন ধান কেটে সরাসরি বাড়ি না নিয়ে শুকানোর জন্য ৪/৫ দিন জমিতেই রাখা হয়। তারপর বাড়িতে নিয়ে আসেন। এ সুযোগে কৃষকদের জমিতে কেটে রাখা পাকা ধান ও আধপাকা ধান কেটে নিয়ে যাচ্ছে চোররা। চোরের হাত থেকে ফসল রক্ষা করতে জমিতে ‘ধুরা’ বানিয়ে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন তারা।

সর্বশেষ খবর