কুমিল্লার ১০৯ কিলোমিটার এলাকায় গত এক দশকে সাতটি রেল স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। এগুলোর মধ্যে এখন ধান মাড়াই ও গরু বাঁধার কাজ চলছে। স্টেশনগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট এলাকার যাত্রীরা পড়েছেন দুর্ভোগে। বন্ধ হওয়া স্টেশনগুলো হল— লাকসাম-নোয়াখালী রেল সড়কের দৌলতগঞ্জ, খিলা, নাথেপেটুয়া ও বিপুলাসার। লাকসাম-চট্টগ্রাম রেল সড়কের নাওটি। লাকসাম-আখাউড়া রেল সড়কের আলী শহর ও ময়নামতি। এছাড়া আরও ৫/৬টি স্টেশন বন্ধ হওয়ার পথে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জনবল সংকটের কারণে অধিকাংশ রেল স্টেশন বন্ধ হয়ে গেছে। এছাড়া ট্রেনের যাত্রী সেবার মান নিম্নমুখী হওয়ায় যাত্রীরা রেল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। কুমিল্লার আলী শহর রেল স্টেশন এলাকায় গিয়ে জানা যায়, স্টেশনটি এক দশক ধরে বন্ধ। সেখানে স্টেশনের প্লাটফর্মে স্থানীয়রা ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজ করছেন। প্রায় একই অবস্থা অন্য স্টেশনগুলোর। কোনো কোনো স্টেশনে বাঁধা হচ্ছে গরু-ছাগল। আলী শহর স্টেশন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা দীন মোহাম্মদ বলেন, ‘যোগাযোগের সুবিধার জন্য স্টেশনের পাশে বাড়ি করেছিলাম। লম্বা হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন থামতো আর ছাড়তো। যাত্রী উঠানামায় এলাকা সরগরম হয়ে উঠতো। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে স্টেশনটি বন্ধ। তাই বাড়ির পাশে স্টেশন থাকলেও আর ট্রেনে ভ্রমণ করা হয় না।’ স্টেশনটি পুনরায় চালু হলে এলাকাবাসী উপকৃত হতেন বলেও জানান তিনি। রেলওয়ে কুমিল্লার সহকারী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কিছু স্টেশন জনবল সংকটের কারণে বন্ধ হয়েছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে আমাদের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন। বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিবার যোগাযোগের চেষ্টাও করে তাকে পাওয়া যায়নি।