রবিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বঙ্গোপসাগরে আবারও ৪৯ জেলে অপহরণ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বনদস্যু কাদের মাস্টার বাহিনীর সদস্যরা বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলারচরের মান্দারবাড়িয়া এলাকা থেকে আবারও ৪৯ জেলেকে অপহরণ করেছে। মুক্তিপণ দাবিতে শুক্রবার রাতে জেলেদের অপহরণ ও আহরিত মাছসহ মালামাল লুট করে। এ নিয়ে গত এক সপ্তাহে সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরে তিন দফায় বনদস্যুর হাতে মুক্তিপণ দাবিতে ১৮৯ জেলে অপহৃত হলেন। সুন্দরবনের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯ ডিসেম্বর রাতে ১০০ জেলেকে এবং ৭ ডিসেম্বর রাতে ৪০ জেলেকে অপহরণ করা হয়েছিল। অপহৃত এসব জেলে এখনো বনদস্যুদের কাছে জিম্মি রয়েছেন বলে মহাজনরা জানান।

দুবলার চর ফিশারম্যান গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমেদ ফিরে আসা জেলেদের বরাত দিয়ে জানান, বঙ্গোপগরের মান্দারবাড়িয়া এলাকায় শুক্রবার প্রায় অর্ধশত ট্রলারে মাছ ধরছিলেন জেলেরা। রাত ১০টার দিকে মাস্টার বাহিনীর ২০-২৫ সশস্ত্র বনদস্যু একের পর এক ট্রলারে হামলা চালায়। তারা প্রত্যেক ট্রলার থেকে একজন করে ৪৯ জেলেকে তুলে নেয়। অপহৃত জেলেদের বাড়ি খুলনার কয়রা উপজেলার চাকলা ও বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি। কয়েকজন জেলে ও মহাজনের অভিযোগ, কাদের মাস্টার বাহিনী যে ট্রলারটি ব্যবহার করে দস্যুবৃত্তি করছে সেটি অত্যাধুনিক ও দ্রুতগামী। ওই ট্রলারটি খুলনা শহরের এক চিহ্নিত কালোবাজারীর। তার ট্রলারটি দস্যুবাহিনীর কাছে ভাড়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগকারীরা জানান। শরণখোলা উপজেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন জানান, একের পর এক অপহরণের ঘটনায় জেলেরা এখন সাগরে যেতে আগ্রহ হারাচ্ছেন। মহানজনরাও মুক্তিপণ দিতে দিতে হতাশ হয়ে পড়েছেন। দস্যুদমন ও জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে পেশা ছেড়ে দেওয়ার চিন্তা করছেন অনেকে। র‌্যাব-৮ এর উপ-অধিনায়ক মেজর আদনান কবির জেলে অপহরণের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর শোনার পর র‌্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। জিম্মি এলাকা চিহ্নিত করে জেলেদের উদ্ধারে অভিযান চালানো হবে। অচিরেই বনদস্যুদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।

সর্বশেষ খবর