মঙ্গলবার, ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ০০:০০ টা

বাগেরহাটে ২৮৬ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন ঝুঁকিপূর্ণ

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাট জেলায় ২৮৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন তিন বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে ৫৭টি ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এসব স্কুলের শিক্ষার্থীদের টিনশেড দিয়ে অস্থায়ী ঘর তুলে সেখানে পাঠদান করা হচ্ছে। এ কারণে গরম-বৃষ্টিতে মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে ছাত্র-ছাত্রীরা। বিষয়টি বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনো সমাধান হচ্ছে না। তাই ঝুঁকি নিয়ে এসব বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী ও শিক্ষক পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। জানা যায়, বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিনতলা ভবনটি ২০১৩ সালে ঝুঁকিপূর্ণ চি?িহ্নত করে প্রশাসন পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। পরে খেলার মাঠে টিনশেড দিয়ে ঘর তৈরি করে সেখানে পাঠদান শুরু হয়। ওই ঘরে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিশুদের পাঠদান করাতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষকরা। অফিসিয়াল কার্যক্রম চলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই। সদর উপজেলার পাতিলাখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একই অবস্থা। একতলা ভবনটিতে ফাটল দেখা দেওয়ার পর পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। স্কুল কর্তৃপক্ষ পাশের একটি বাড়িতে টিনশেড ঘর তুলে সেখানে পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বাসাবাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানা বুলবুল বলেন, ‘বিদ্যালয় ভবনটি পরিত্যক্ত হওয়ার পর টিনশেড ঘরে ক্লাস করানো হচ্ছে। বিদ্যালয়টির শিক্ষার মান অনেক ভালো এবং প্রতিবছর এ বিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পায়। কিন্তু জরাজীর্ণ অবস্থার কারণে প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে।’ বাসাবাটি ও পাতিলাখালী বিদ্যালয়ের মতো একই চিত্র জেলার নয় উপজেলার ২৮৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের। বাগেরহাট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অশোক কুমার জানান, নয়টি উপজেলায় এক হাজার ১২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ২০১৩ সালে ২৮৬টি বিদ্যালয়কে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়। এরমধ্যে বাগেরহাট সদর উপজেলায় ৩৯টি, ফকিরহাটে ২৯টি, মোল্লাহাটে ১৯টি, চিতলমারীতে ১৫টি, কচুয়াায় ২০টি, শরণখোলায় ১৬টি, রামপালে ১২টি, মংলায় ২৭টি ও মোরেলগঞ্জে রয়েছে ১০৯টি। এই কর্মকর্তা আরও জানান, তিন বছরে বেশকিছু স্কুলের ভবনের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব স্কুল সংস্কার করা হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর