শনিবার, ১২ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঠাকুরগাঁওয়ে পামবাগান কেটে ফেলছেন চাষিরা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁওয়ে পামবাগান কেটে ফেলছেন চাষিরা

ঠাকুরগাঁওয়ে লাভের মুখ না দেখায় পামগাছ কেটে ফেলছেন চাষি —বাংলাদেশ প্রতিদিন

দীর্ঘ ৫ বছরেও গাছের কাঙ্ক্ষিত পাম ফল না আসায় এবং লাভের মুখ দেখতে না পারায় হতাশায় ঠাকুরগাঁও জেলার বেশিরভাগ চাষি পামগাছ কেটে ফেলছেন। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী হিসেবে পরিচিত পামবাগান বিলুপ্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে, ঠাকুরগাঁও  জেলায় ১২ দশমিক ৫৩ হেক্টর জমিতে প্রায় ৩০টি পাম বাগান রয়েছে। এ ছাড়া বসতবাড়ির আশপাশে ১৭ দশমিক ৫২ হেক্টর জমিতে রয়েছে পামের গাছ। ৪/৫ বছর পূর্বে বখতিয়ার এগ্রো লিমিটেড ও সবুজ বাংলা এগ্রো লিমিটেড নামে দুটি সংস্থা দেশে তেলের চাহিদা  মেটানোর কথা বলে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে পামচাষ শুরু করে। পামফল ৪ বছর থেকে ৭০ বছর পর্যন্ত ফল দেবে আর তা বিক্রি করে ১০০ গাছ থেকে মাসে আয় হবে কমপক্ষে ২ লাখ টাকা। তারা আরও জানায়, ফল আহরণ করে কিছুক্ষণ পানিতে সিদ্ধ করে চাপ দিলেই রস বের হবে। আর আগুনে জ্বাল দিলেই অতিরিক্ত পানি বাষ্প হয়ে উড়ে যাবে। এরপর লাল রঙের যে তেল পাওয়া যাবে, তা পরিশোধন ছাড়াই রান্নায় ব্যবহার করা যাবে। ওই ২ কোম্পানির মন ভোলানো কথায় জেলার প্রায় ২ শতাধিক কৃষক ‘শেষ বয়সের পেনশন স্কিম’ হিসেবে প্রায় ৫ হাজার বাগানে পাম চাষ করে। ওইসব জমিতে সাথী ফসল হিসেবে কোনো কিছু আবাদ করা যায়নি। এদিকে ৫ বছর অতিবাহিত হলেও বাগান থেকে কোনো ফল আহরণ করা যাচ্ছে না। মাঝে মাঝে কালো রঙের জামের মতো দেখতে ফল দেখা গেলেও তা বিক্রির কোনো বাজার না থাকায় বাগানেই নষ্ট হয়ে যায় পামফল। এ অবস্থায় রুহিয়া এলাকার বেশকিছু পামচাষি তাদের বাগান কেটে ফেলতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে সদর উপজেলার ভাতগাঁও এবং রানীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার প্রায় সব বাগান কেটে ফেলছেন চাষিরা।

সর্বশেষ খবর