সোমবার, ২১ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা
বাঁকখালীর জোয়ারের পানির ধাক্কা

হুমকির মুখে পাঁচ হাজার বসতি

কক্সবাজার প্রতিনিধি

হুমকির মুখে পাঁচ হাজার বসতি

জোয়ারের পানির ধাক্কায় বিলীনের পথে দুটি গ্রাম —বাংলাদেশ প্রতিদিন

বাঁকখালী নদীর জোয়ারের পানির ধাক্কায় ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে কক্সবাজার শহরের মধ্য ও উত্তর নুনিয়ারছড়া এলাকার অন্তত পাঁচ হাজার বসতি। দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে এসব বাড়ি-ঘরের ৩০ হাজার মানুষের। ইতোমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে দুই এলাকার শতাধিক বসতভিটা। ক্রমান্বয়ে ভাঙন বাড়ায় হুমকির মুখে রয়েছে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, কারখানা। বিলীন হওয়ার পথে কক্সবাজার মত্স্য অবতরণকেন্দ। ঝুঁকিতে রয়েছে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও। বর্ষার আগেই এ জনপদ রক্ষায় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এলাকাবাসীর। জানা গেছে, জেলার একমাত্র মত্স্য অবতরণকেন্দ টি জোয়ারের ধাক্কায় বাঁকখালীতে হেলে পড়েছে। ভবনের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় ভেঙে পড়েছে অনেক পিলার। পুরো ভবনজুড়ে ফাটল আর ফাটল। এ কারণে তিন মাস আগে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সরেজমিনে দেখা যায়, মত্স্য অবতরণকেন্দ  থেকে উত্তর দিকে ভাঙন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। বালুর বস্তা, ইট কিংবা গাছ-বাঁশের বাঁধ দিয়ে বসতভিটা রক্ষার চেষ্টা করছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়দের দেওয়া তথ্য মতে, ভাঙনকবলিত এলাকায় রয়েছে তিনটি মাদ্রাসা, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি হাইস্কুল, তিনটি এতিমখানা, একটি মসজিদ ও একটি মন্দির। এছাড়া আছে ছোটবড় ১৮টি শুঁটকিমহাল, কাঁকড়া রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান, ১৪টি তেলের পাম্প ও ১৮টি বরফ কল। আছে কবরস্থান ও শ্মশান। বাঁকখালীর অব্যাহত ভাঙনে এসব স্থাপনা রয়েছে চরম ঝুঁকিতে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাঁকখালী নদী ড্রেজিং না করায় জোয়ারের পানির ধাক্কা বসতিতে এসে পড়ছে। জনবসতি বাঁচাতে দ্রুত নদীটির পূর্বাংশ ড্রেজিং করতে হবে। অন্যথায় জনপদে টিকে থাকা অবম্ভব হয়ে পড়বে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মিজানুর রহমান বলেন, বাঁকখালীতে শক্তিশালী ড্রেজার বসিয়ে বিমানবন্দরের জন্য বালি উত্তোলন করায় নদীর গভীরতা বাড়ছে এবং বসতির মাটি সরে যাচ্ছে। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে ভাঙন। বিষয়টি প্রশাসনসহ সবারই জানা। এরপরও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে এলাকা রক্ষায় ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে মত্স্য অবতরণকেন্দ  সংরক্ষণে চার কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এপ্রিলের মধ্যে ব্লকগুলো ফেলা হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সর্বশেষ খবর