বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০১৬ ০০:০০ টা

ভেজাল বীজে সর্বস্বান্ত তরমুজ চাষী

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় নামি কোম্পানির বীজ বপন করে বিপাকে পড়েছেন ৩০ তরমুজ চাষী। ওই বীজ থেকে গাছ হলেও বেশিরভাগ গাছেই ফল ধরছে না। গাছের বয়স শেষ হয়ে এলেও আজ অবধি এক টাকার তরমুজ বিক্রি করতে পারেননি কৃষকরা। কেউ জমি বর্গা নিয়ে আবার কেউ এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে তরমুজ চাষ করে এখন সর্বস্বান্ত।

জানা যায়, কুষ্টিয়ার মিরপুর ডাঙাপাড়ার কৃষকরা প্রায় চার মাস আগে নামি কয়েকটি বীজ কোম্পানির এজেন্টের কাছ থেকে চড়া দামে তরমুজ বীজ কিনে ৫০ বিঘা জমিতে বপন করেন। যথা সময়ে বীজ থেকে চারা গজিয়ে গাছে ক্ষেত ছেয়ে গেলেও তরমুজের দেখা নেই। দু-একটি গাছে এক-দুটি তরমুজ ধরলেও তা আকারে খুবই ছোট। বীজ কোম্পানির পরামর্শ মতো কৃষকরা সার, কীটনাশক দিয়েও ফল পাননি। আব্দুল লতিফ নামে এক কৃষক বলেন, ‘এনজিও থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে তরমুজের আবাদ করেছিলাম। এখন ঋণের টাকা শোধ করবো কি করে তা ভেবে দিশাহারা হয়ে পড়েছি।’ তরমুজ চাষী আব্দুল হাকিম জানান, স্থানীয় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ্যামল কুমারকে একাধিকবার বিষয়টি জানিয়েও লাভ হয়নি। তিনি কোনো পরামর্শ না দিয়ে উল্টো গাছ উপড়ে ফেলে অন্য ফসল করার কথা বলেন। কুষ্টিয়া কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কিঙ্কর চন্দ  জানান, বীজের গুণগত মান খারাপ হওয়ার কারণেই গাছে ফল আসেনি। তার ভাষ্য, এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব বীজ প্রত্যয়ন বিভাগের। তবে তার দপ্তরের কোনো কর্মকর্তার এ ব্যাপারে গাফিলতি থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর