রবিবার, ১ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

শুকিয়ে যাচ্ছে কাপ্তাই হ্রদ হুমকিতে নৌ চলাচল

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি শুকিয়ে নৌ-পরিবহন চলাচল হুমকির মুখে পড়েছে। অস্বাভাবিক হারে হ্রদের পানি নিচে নেমে তৈরি হচ্ছে এ সংকট। এতে জেলার ছয়টি উপজেলা বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, হরিনা, লংগদু, বাঘাইছড়ি ও নানিয়ারচরে নৌ-যোগাযোগ বিঘ্নিত হচ্ছে। দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে পাহাড়ে বসবাসরত হাজারো মানুষের জীবনে।

রাঙামাটি লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি মঈনু উদ্দীন সেলিম জানান, কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি ও বিলাইছড়ি, হরিনাসহ বেশ কয়েটি উপজেলায় লঞ্চ যেতে পারছে না।

জানা যায়, কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর কমে যাওয়ায় জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর। এতে কয়েকটি উপজেলায় লঞ্চ যেতে পারছে না। ফলে ছোট ক্যান্টি বোর্ড অথবা নৌকা দিয়ে যাতায়াত করছে ওই উপজেলার মানুষ। অন্যদিকে কাপ্তাই হ্রদে পানি-স্বল্পতার কারণে পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্রে মারাত্মক আকারে উৎপাদন ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন কেন্দ্রের পাঁচ ইউনিট দিয়ে পিক-আওয়ারে রেশনিং পদ্ধতিতে বর্তমানে দৈনিক সর্বোচ্চ ৬০-১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত সঙ্কট বাড়তে থাকবে বলেও জানানো হয়। জুরাছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান উদয় জয় ও বরকল উপজেলা চেয়ারম্যান মনি চাকমা জানান, হ্রদের পানি দ্রুত কমে যাওয়ায় উপজেলাগুলোতে মালামাল ও যাতায়াতে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। উৎপাদিত ফসল বিশেষ করে আনারস, কলা, কাঁঠাল, আম, তরমুজসহ বিভিন্ন শাক-সবজি চাষিরা সঠিক সময়ে বাজারে সরবরাহ করতে পারছে না। বিনষ্ট হচ্ছে উৎপাদিত পণ্য।

বাংলাদেশ মত্স্য উন্নয়ন করপোরেশন ব্যবস্থাপক ও প্রজেক্ট ডিরেক্টর কমান্ডার মাইনুল ইসলাম জানান, ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে কাপ্তাই হ্রদের অস্তিত্ব পুনরুদ্ধার করতে হবে। জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন বলেন, কাপ্তাই হ্রদের সঠিক ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারকে আহ্বায়ক করে ব্যবস্থাপনা কমিটি হয়েছে। কমিটি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে হ্রদের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব দিয়েছে। প্রকল্পটি বিবেচনাধীন।

সর্বশেষ খবর