রবিবার, ১৫ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা

প্রতিষ্ঠানের জমি দখল করে চাষাবাদ, পাঠদান বন্ধ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রতিষ্ঠানের জমি দখল করে চাষাবাদ, পাঠদান বন্ধ

গোবিন্দগঞ্জের বন্ধ হয়ে যাওয়া বগুলাগাড়ি বসরিয়া দাখিল মাদ্রাসা

সম্পত্তি দখল, অর্থ আত্মসাত ও নিজেদের কোন্দলে বন্ধ হয়ে গেছে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ বগুলাগাড়ী বসরিয়া মাদ্রাসা।  ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় দেড় যুগ আগে প্রতিষ্ঠিত এ মাদ্রাসার পাঠদান কর্মসূচি। মাদ্রাসাটি প্রায় দখল করে নিয়েছে এলাকার প্রভাবশালীরা। কেউ জমি দখল করে চাষাবাদ করছেন। কেউ বা রাতের আঁধারে কেটে নিচ্ছেন মাদ্রাসায় লাগানো লাখ লাখ টাকার গাছ। খুলে নেওয়া হচ্ছে দরজা-জানালা টিন খুঁটিসহ নানা উপকরণ। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।

সরজমিনে দেখা যায়, তিন কক্ষের একটি আধাপাকা ঘর তালাবদ্ধ। টিনের দুটি লম্বা ঘর অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। এ দুটির বেশির ভাগ টিন, খুঁটি, জানালা, দরজা লুট হয়ে গেছে। শিক্ষক আবু তাহের জানান, মাদ্রাসায় ১৬ জন শিক্ষক এবং প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী ছিলেন। প্রতিষ্ঠার সময় এমপিওভুক্তির নামে শিক্ষকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা আদায় করেন মাদ্রাসা সুপার রেজাউল করিম এবং প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আবুল হোসেন। পরবর্তীতে এই টাকা আত্মসাত এবং এমপিওভুক্ত না হওয়া নিয়ে কলহের সৃষ্টি হয়। ২০১০ সাল থেকে শিক্ষকরা মাদ্রাসায় আসা বন্ধ করে দেন। শিক্ষার্থীরাও চলে যায় অন্যত্র।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাজাহান মিয়ার বিরুদ্ধে মাদ্রাসার জমি দখল করে চাষাবাদের এবং সুপার রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে নার্সারি ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ আছে। শাহাজাহান নিজেকে মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি বলে দাবি করে জানান, বর্তমানে এখানে এবতেদায়ী পর্যায়ের পাঠদান চলছে। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু তারেক মো. রওনকের দাবি, মাদ্রাসাটিতে এবতেদায়ী পাঠক্রম চালু নেই এবং অনুমোদিত কোনো কমিটিও নেই। জমি দখল ও গাছ কাটার বিষয়ে শাহজাহান বলেন, কয়েকটি গাছ ঝড়ে পড়ে যাওয়ায় তা কাটা হয়। ওগুলো বিক্রির টাকায় মাদ্রাসার টিউবয়েল ও দেয়াল পলেস্তরা করা হয়েছে। মাদ্রাসা সুপারের দাবি, নার্সারির জায়গা তার নিজস্ব। প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি আবুল হোসেন শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানান, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছি তা হয়নি। এ বিষয়ে আমার কোনো মতামত নেই।

সর্বশেষ খবর