বুধবার, ২৫ মে, ২০১৬ ০০:০০ টা
সংবাদ সম্মেলনের বাবা-মা

‘ছেলে গুম হওয়ায় আমরা অনাহার অর্ধাহারে আছি’

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

গুমের শিকার একমাত্র সন্তানকে ফিরে পেতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এক অসহায় পিতা। গতকাল সকালে পঞ্চগড় প্রেসক্লাব হলরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিন তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০১২ সালের ৫ মার্চ ঢাকার ফার্মগেট এলাকা থেকে তার ছেলে ইমাম হাসান ওরফে বাদলকে (২৪) অপহরণ করা হয়। ওই দিনই তিনি মোবাইল ফোনে তেজগাঁও র‌্যাব-২-এর কাছে ছেলে অপহরণের কথা জানান। অপহরণের পরদিন র‌্যাব সদস্যরা জাহিদ ও বাবুল নামে দুই অপহরণকারীকে আটক এবং অপহৃত বাদলকে উদ্ধার করেন। অপহরণকারীরা বাদলের পূর্বপরিচিত ছিল। এজন্য বাদলকে র‌্যাব কর্তৃক উদ্ধারের ঘটনাটি অপহরণকারীরাই মোবাইল ফোনে রুহুল আমিনকে জানায়। মোবাইল ফোনে ছেলে উদ্ধারের খবর পেয়ে ১৩ মার্চ তিনি ঢাকায় র‌্যাব-২ অফিসে যান। র‌্যাবের পরামর্শে তেজগাঁও থানায় একটি জিডিও করেন (নম্বর ৭৪০, তারিখ ১৩ মার্চ, ২০১২)। এরপর র‌্যাব-২-এর ডিউটি অফিসার এসআই রাজু একটি আবেদনে তার স্বাক্ষর নেন বলে তিনি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে রুহুল আমিন জানান, প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে ছেলের জন্য ঢাকার মানবাধিকার কমিশন, র‌্যাব ক্যাম্প, থানা, বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, পত্রিকা অফিসসহ বিভিন্ন দফতরে ঘুরছি। আজ পর্যন্ত ছেলের হদিস পাইনি। আমার ছেলেকে গুম করা হয়েছে। সংসারের একমাত্র কর্মক্ষম ছেলেকে হারিয়ে আমরা অনাহারে-অর্ধাহারে দিনযাপন করছি। আমার আরেক ছেলে ইমাম হোসেন সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে বর্তমানে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আমি হকারি করে সংসার চালাতাম। বয়সের কারণে এখন আর পারি না। এক পর্যায়ে হাউমাউ করে কেঁদে ফেলেন রুহুল আমিন।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতেই কেঁদে ফেলেন গুমের শিকার বাদলের মা মিনারা বেগমও। তিনি বলেন, ছেলের আয় দিয়েই আমাদের সংসার চলত। এখন আমরা এক বেলাও ঠিকমতো খেতে পারি না। ছেলে ফেরত আসবে এ আশায় বুক বেঁধে বেঁচে আছি। ছেলে উদ্ধারে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চাই।

সর্বশেষ খবর