শনিবার, ৪ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

কৃষকের কার্ডে গম সরবরাহে লাভবান ব্যবসায়ী

নাটোর প্রতিনিধি

কৃষকের কার্ডে গম সরবরাহে লাভবান ব্যবসায়ী

খাদ্য গুদামের কয়েকশ গজ দূরে পেট্রল পাম্পে ট্রাক থেকে বস্তা বোঝাই গম পাওয়ার ট্রিলারে তোলা হচ্ছে —বাংলাদেশ প্রতিদিন

নাটোরে গম সংগ্রহ অভিযানে কৃষকদের নামে সরবরাহ করে ব্যবসায়ীরা লাভবান হচ্ছেন। জেলার সাত উপজেলার ছয় খাদ্য গুদামে এবার গম সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৮৯৪ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যে সংগ্রহ করা হয়েছে সাত হাজার ৭৮২ মেট্রিক টন। যা লক্ষ্যমাত্রার শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ। সংগ্রহের সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী কৃষি কার্ডধারী কৃষকের কাছ থেকে ২৩ টাকা কেজি দরে গম কেনার কথা। গমের বাজারমূল্য কম থাকায় ব্যবসায়ীরা ১৭ থেকে ১৮ টাকা কেজি দরে কিনে তা বেশি দামে গুদামে সরবরাহ করছেন। এতে তারা টনপ্রতি লাভ করছেন পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা। এমনকি নাটোরের বাইরে থেকে কম দামে কিনে মজুদ করে রাখা গমও ব্যবসায়ীরা গুদামে সরবরাহ করছেন। এভাবে নাটোরের সরকারি বিভিন্ন খাদ্য গুদামে ব্যবসায়ীরা কৃষক না হয়েও কৃষকদের কার্ড ব্যবহার করে গম সরবরাহ করছেন। এসব ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা তাদের নিজস্ব গুদাম থেকে ট্রাকবোঝাই গম বের করে খাদ্য গুদামের কাছাকাছি কোথাও ট্রাক থেকে নামিয়ে পাওয়ার ট্রিলারে করে গম গুদামে দিচ্ছেন। এ সময় ব্যবসায়ীরা তাদের পরিচিত কোনো কৃষি কার্ডধারীর নামেই গম সংগ্রহ করছেন। আবার কেউ টাকার বিনিময়ে কৃষকদের কাছ থেকে কার্ড সংগ্রহ করে গুদামে গম সরবরাহ করছেন। সদর খাদ্য গুদামে বেশকিছু অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। ভেজা গম না নেওয়ার ব্যাপারে খাদ্য বিভাগের কঠোর নির্দেশনা থাকার পরও এই গুদামে ভেজা গম কেনা হয়েছে। কৃষকপ্রতি ১০ মণ থেকে শুরু করে তিন মেট্রিক টন গম গুদামে সরবরাহ করার কথা থাকলেও অনেক ক্ষেত্রে সে নিয়ম মানা হয়নি। এ ব্যাপারে নাটোর সদর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুজ্জামান জানান, তার গুদামে গম সংগ্রহে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না। সরকারি নীতিমালা মেনেই সংগ্রহ করা হচ্ছে। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল ইসলাম বলেন, তিনি জেলার সব খাদ্য গুদামের দায়িত্বে থাকা কমকর্তার সঙ্গে যোগযোগ রাখছেন। প্রয়োজনে পরিদর্শনও করছেন। সদরের গুদামে কিছু ভেজা গম কেনার খবর পেয়ে তিনি তাত্ক্ষণিক সেই গম বদল করিয়ে নিয়েছেন। তিনি জানান, কোথায় ব্যবসায়ীরা গম গুদামে সরবরাহ করছেন সেটা তার জানা নেই।

সর্বশেষ খবর