শুক্রবার, ১০ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

গাজীপুরে স্কুলছাত্র হত্যার দায়ে তিনজনের ফাঁসি

গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরে মুক্তিপণের দাবিতে স্কুলছাত্র গিয়াস উদ্দিনকে অপহরণ ও হত্যার দায়ে তিন যুবককে ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। রায়ে একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে বিভিন্ন ধারায় কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়। ঘটনার প্রায় ২০ বছর পর গতকাল গাজীপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভূইয়া এ রায় প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন— কাপাসিয়ার সালদৈ গ্রামের আতাউর রহমান ওরফে আতা, আলম হোসেন ও মো. ইউসুফ ওরফে ইউসুপ। এদের মধ্যে ইউসুফ পলাতক রয়েছে। 

গাজীপুর জজকোর্টের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মো. মকবুল হোসেন কাজল জানান, কাপাসিয়া উপজেলার সালদৈ গ্রামের মো. আবদুল বাতেন বেপারীর ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিনকে তার সহপাঠী আলম ১৯৯৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর বিকালে পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর মনোহরদী এলাকায় সার্কাস দেখার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে নিখোঁজ হয় গিয়াস। পরে গিয়াস উদ্দিনের বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা। মুক্তিপণ না পেয়ে আসামিরা গিয়াস উদ্দিনকে হত্যা করে লাশ গুম করে। এদিকে, ছেলের খোঁজ না পেয়ে তার বাবা কাপাসিয়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে কাপাসিয়া থানা পুলিশ। গিয়াস উদ্দিন স্থানীয় ঘাগুটিয়া চালা উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ ঘটনায় পুলিশ গিয়াস উদ্দিনের সহপাঠী আলম ও ইউসুফকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। ইউসুফ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার প্রায় তিন মাস পর পুলিশ কাপাসিয়ার মাধুলী বিল থেকে বস্তাবন্দী গিয়াস উদ্দিনের কঙ্কাল ও লুঙ্গি উদ্ধার করে। পুলিশ ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বরে ৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে। অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন মামলা চলাকালীন অবস্থায় মারা যায়। আদালতের রায়ে আতাউর, আলম ও ইউসুফকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এ ছাড়াও তিন আসামির প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং  ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন।

সর্বশেষ খবর