শনিবার, ১১ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

‘কোনঠে থাকি ৪০০ টাকায় গোস্ত কিনে খামো বাহে’

দিনাজপুর প্রতিনিধি

দিনাজপুরে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা প্রতি কেজি। কসাইরা সিন্ডিকেট করে মাংসের দর বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। ১০-১৫ দিন আগেও গরুর মাংস কেনাবেচা হতো ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা কেজি দরে। দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কোনো কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেননি বিক্রেতারা। এদিকে দাম বৃদ্ধির ফলে নিম্ন আয়ের মানুষেরা গরুর মাংস কিনতে পারছেন না। স্থানীয় ভোক্তারা বলছেন, উপজেলাসহ গ্রামীণ হাটবাজারগুলোয় মনিটরিং না থাকায় কসাইরা তাদের ইচ্ছামতো দাম বৃদ্ধি করে চলেছেন। তারা ডিজিটাল স্কেল ব্যবহার না করে দাঁড়িপাল্লার ওজনে এখনো মাংস বিক্রি করছেন। মাংস বিক্রিতে রয়েছে ওজনের মারপ্যাঁচ। এর ফলে প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন সাধারণ ভোক্তারা। এ ছাড়াও অভিযোগ উঠেছে, স্বাস্থ্যসম্মত পশু জবাই করা হয় না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পশুর দেহে পৌর স্বাস্থ্য পরিদর্শকের সিল থাকে না। এ ছাড়া প্রাণিসম্পদ অফিসারকে না জানিয়েই হামেশা রোগাক্রান্ত গরু জবাই করা হয়। গতকাল বেলা ১১টায় সরেজমিনে পার্বতীপুর পৌরসভার নতুন বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি করা হচ্ছে ৪০০ টাকায়। কসাইরা বলছেন, সামনের দিনগুলোয় মাংসের দাম আরও বাড়বে। ক্রেতা পার্বতীপুরের রামপুর ইউনিয়নের কৃষক গোলজার আলী বলেন, ‘আমি ছোট গেরস্থ। হাতে টাকা না থাকায় অনেক দিন গরুর মাংস কিনতে পারিনি। এ ছাড়াও ধানের দাম না থাকায় প্রয়োজনীয় কোনো খরচাদি করতে পারিনি।’ ভ্যানচালক রমজান আলী বলেন, ‘গরুর গোস্ত কেনা হামার দারা হবার নায়। খাওয়াও হবার নায়। এ্যালা গরুর গোস্তের দাম ৪০০ টাকা। সারা দিন ভ্যান চালে যে কামাই হয়, হারা কোনঠে থাকি গোস্ত কিনে খামো বাহে।’ পার্বতীপুর নতুন বাজারের মাংস বিক্রেতা ও কসাই আরিফ হোসেন ও মানিক জানান, ‘১৫ দিন আগে যে গরু ৩০ হাজার টাকায় কিনছিলাম সেই একই ধরনের গরু এখন ৩৮ হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। এ ছাড়া চামড়ার কোনো দাম নাই। ৩৮ হাজার টাকার গরুর চামড়া বিক্রি হয় মাত্র দেড় হাজার টাকায়।’ নতুন বাজারের মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আশরাফ আলী বলেন, ‘আমরা কোনো সিন্ডিকেট করি নাই।’ পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘উপজেলা পর্যায়ের মনিটরিং সেল বা কমিটি আছে। রমজানে মনিটরিং কমিটি তদারকির কাজ করবে।

সর্বশেষ খবর