শনিবার, ১৮ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়ক ভোগান্তির আরেক নাম

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়ক ভোগান্তির আরেক নাম

শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কটি এখন গরুর গাড়ি চলাচলেরও অনুপযোগী —বাংলাদেশ প্রতিদিন

নেত্রকোনা সীমান্তবর্তী দূর্গাপুর উপজেলার বাণিজ্যিক সড়কের (শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি) পুরোটারই এখন বেহালদশা। ৩৭ কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগ গরুর গাড়ি চলাচলেরও অনুপযোগী। ফলে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ী।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটি দিয়ে দিনে ১২০০ থেকে ১৫০০ বালুভর্তি ট্রাক চলাচল করে। এছাড়া কয়েকশ মিনি ট্রাক, লরি, যাত্রীবাহী বাস চলাচল তো আছেই। অথচ সরকারি হিসাব অনুযায়ী শ্যামগঞ্জ-বিরিশিরি সড়কে দিনে ৫০০-৬০০ ট্রাক চলাচলের কথা। সড়কটির অধিকাংশ এলাকা খানাখন্দে বেহাল। দিনের পর দিন গর্তে আটকা পড়ে থাকে যানবাহন। অথচ এ সড়কটিই দুর্গাপুরের খনিজ সম্পদ-বালু, কয়লা, চীনামাটি ও পাথর ঢাকাসহ সারা দেশে রপ্তানির একমাত্র মাধ্যম। এলাকাবাসী জানান, প্রথমে সড়কটির শুকনাকুড়ি আপ্রোচ, কৃষ্ণেরচর, লক্ষ্মীপুর কালামার্কেট, লালমিয়ার বাজারসহ প্রায় ৬/৭ কিমির বেশকটি জায়গায় সুড়কি উঠে যায়। এরপর ভাঙতে ভাঙতে ঝাঞ্জাইল পর্যন্ত সড়কের অর্ধেকে চলে আসে। বর্তমানে দুই তৃতীয়াংশ জায়গা জুড়ে ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে বালু, পাথর, সুড়কি কিছুই নেই। যাত্রীরা কলমাকান্দা হয়ে তিনগুণ রাস্তা পাড়ি দিয়ে চলাচল করেন। দীর্ঘদিন এলাকাবাসী সড়কটি সংস্কারের দাবি জানিয়ে আসলেও কর্ণপাত করেননি জনপ্রতিনিধিরা। নেত্রকোনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী মাসুদ খান জানান, বার বার বলার পরও স্বোমেস্বরী নদী থেকে ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত বালু বোঝাই করে ট্রাকের বডি সম্প্রসারণ করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার উপর ভেজা বালু নেন খরচ বাঁচাতে। সারা সড়ক ভিজা থাকে। তার উপর দিয়ে চলে একের পর এক যান। এতে পানি ঢুকে পেগমেন্ট নষ্ট হয়, পিচ থাকে না। ইজারাদারদের অনেকবার বলা হয়েছে ভেজা বালু না নিতে।

সর্বশেষ খবর