রবিবার, ২৬ জুন, ২০১৬ ০০:০০ টা

তিস্তা ধরলার পানি বিপদসীমার উপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

নীলফামারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধি

তিস্তা ধরলার পানি বিপদসীমার উপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

বন্যার কারণে বসতভিটা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। নীলফামারীর ডিমলার চরখড়িবাড়ী গ্রাম থেকে গতকাল ছবিটি তোলা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

গত দুই দিনের ভারি বর্ষণ আর উজান থেকে ধেয়ে আসা পাহাড়ি ঢলে আবারও তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার সকাল ৯টা থেকে তিস্তা নদীর পানি নীলফামারীর ডালিয়া-তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে তিস্তা দুকূল ছাপিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করেছে। নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত হতে তিস্তার পানি হু হু করে বাড়তে থাকে। রাত ৩ টায় তিস্তা বিপদসীমা অতিক্রম করে। যা গতকাল সকাল ৯টায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০ সেমি)। পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ী, ছাতুনামা, ঝাড় সিংহের চর, কিসমত ছাতনাই, উত্তর খড়িবাড়ী, পূর্ব খড়িবাড়ী, দোহল পাড়া, চর খড়িবাড়ী, ভাসানীর চর, টাবুর চর, ছোট খাতা, ভেন্ডাবাড়ী, বাইশ পুকুর, ছোট খাতা ও জলঢাকা উপজেলার, গোলমুণ্ডা, ডাউয়াবাড়ী, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এদিকে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তিস্তার উজানে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ডিমলা উপজেলার ৯ নম্বর টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চড় খড়িবাড়ী গ্রামের স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত যৌথ বাঁধটি ইতিমধ্যে ভেঙে গেছে। এদিকে গতকাল সকাল ৯টায় লালমনিরহাটের দোয়ানি ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে, জেলার কুলাঘাট পয়েন্টে ধরলার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর দুই পাড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে চরাঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

সর্বশেষ খবর