শনিবার, ২ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

সুনামগঞ্জ ছাত্রদলের নেতৃত্বে ‘ছাত্র’ নাই

জেলা আহ্বায়ক কমিটির ১৭ জনই বিবাহিত

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের ছাত্রত্ব না থাকায় নেতৃত্ব পর্যায়ে ‘ছাত্র সংকটে’ পড়েছে সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রদল। জেলা, উপজেলা, পৌর ও কলেজ কমিটির দায়িত্বে থাকা ৯০ ভাগ নেতারই এখন ছাত্রত্ব নেই। এমন ইমেজ সংকটের ফলে প্রকৃত ছাত্রদের দলে টানতে পারছেন না তারা। জেলা আহ্বায়ক কমিটির ২০ সদস্যের ১৭ জনই বিবাহিত। ছেলেপুলের বাবা এসব ছাত্রনেতার অনেকের বয়স চল্লিশের কোঠায়। বাকিদের চল্লিশ ছুঁই ছুঁই। ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি-বাকরি আর সংসার নিয়ে ব্যস্ত তারা। নেতৃত্ব ধরে রাখতে কেউ অবশ্য জোড়াতালি দিয়ে ছাত্রত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। জেলা ছাত্রদলে সাবেক আহ্বায়ক নাদির আহমদ বলেন, সময়মতো কেন্দ্রীয় সংসদ যদি জেলা কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিত তবে নেতৃত্বে সংকট সৃষ্টি হতো না। জানা যায়, ২০১০ সালের ৮ ডিসেম্বর নূরুল ইসলাম নূরুলকে আহ্বায়ক করে গঠিত হয় সুনামগঞ্জ ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি। ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত হলেও বয়স ৪০ পেরিয়েছে তার। ছাত্রদলের পাশাপাশি জেলা বিএনপির সম্পাদক পদের জন্য জোর লবিং করছেন নূরুল। জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুর রশিদ দ্বিতীয় মেয়াদে ইউপি চেয়ারম্যান। যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল হক ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়িত। শামসুজ্জামান, জামাল উদ্দিন বাকের, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, আবু সায়েম লিটন, আবুল কালাম, আনোয়ার জাভেদ, তোফাজ্জল হোসেন, আলফুজ্জামান বকুল, হামিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন— এরা সবাই বিবাহিত। নিয়মিত ছাত্রত্ব না থাকায় সংসার পরিচালনা ও ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন তারা। যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম কেন্দাসেল আহমদ চাকরি করেন ইন্সুরেন্স কোম্পানিতে। বিয়ে না করলেও ছাত্রত্ব নেই ময়না মিয়ারও। কামরুল হাসান রাজু উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ পাস করে পড়ছেন এলএলবি। এছাড়া জেলা ছাত্রদলের ২৪ শাখা কমিটির ২১টির বেশিরভাগ নেতারই ছাত্রত্ব নেই। ২০১০ সালের পর ওই ২১ কমিটি পুনর্গঠন না করায় এমন অবস্থা। তবে গত বছর সদর উপজেলা, সুনামগঞ্জ পৌরসভা ও সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজ কমিটি পুনর্গঠন করায় ওইসব কমিটির নেতার অনেকেই নিয়মিত ছাত্র।

সর্বশেষ খবর