রবিবার, ৩ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

অষ্টগ্রামে ফের সংঘর্ষ আহত অর্ধশতাধিক

চৌমুহনীতে আ.লীগের দুই গ্রুপে সংঘাত

কিশোরগঞ্জ ও নোয়াখালী প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার আদমপুর বাজারে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আদমপুর ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবদুল মন্নাফ ও সাবেক চেয়ারম্যান ফজলুল করিম বাদলের সমর্থকদের মধ্যে দুই দিনের সংঘর্ষে অন্তত দেড়শ দোকানঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়ে চলে বিকাল ৩টা পর্যন্ত। শনিবার সকালে আবারও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে বাজারে অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত অষ্টগ্রাম থানার এসআই নূরে আলম এ প্রতিনিধিকে জানান, শনিবার সকালে বাজারে আগুন দেওয়া হয়। উভয় গ্রুপ প্রতিপক্ষের দোকানগুলোয় আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ ও শটগানের ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে। এক পর্যায়ে গুলি শেষ হয়ে গেলে তারা পুলিশের প্রতি মারমুখী হয়ে ওঠে। পরে পুলিশ নিরাপদ স্থানে চলে আসে। এ সময় অন্তত ২৫ জন আহত হন।

অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন শনিবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, দুই দিনের সহিংসতায় আদমপুর বাজারের প্রায় দেড়শ দোকানঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাজারটি খুবই ঘনবসতিপূর্ণ হওয়ায় ক্ষতি বেশি হয়েছে। তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে এবং এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে যুবলীগের কমিটিকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৩ জনকে আটক করে।

জানা গেছে, সম্প্রতি যুবলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ স্থানীয় এমপি মামুনুর রশিদ কিরনের সমর্থক নুর হোসেন মাসুদকে আহ্বায়ক করে বেগমগঞ্জ উপজেলা ও সাইফুল ইসলাম সায়েমকে আহ্বায়ক করে চৌমুহনী পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে। একই সময় নোয়াখালী জেলা কমিটি চৌমুহনী পৌর  মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সলের সমর্থক জাহাঙ্গীর আলমকে আহ্বায়ক করে বেগমগঞ্জ উপজেলা ও ফয়েজুল ইসলাম সুমনকে আহ্বায়ক করে চৌমুহনী পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে। ফলে পাল্টাপাল্টি কমিটি নিয়ে উপজেলার সর্বত্র উত্তেজনা দেখা দেয়। সেই উত্তেজনার রেশেই শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চৌমুহনী শহরের হকার্স মার্কেটে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মামুনুর রশিদ কিরনের সমর্থকদের সঙ্গে চৌমুহনী পৌর মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সলের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরে তা প্রধান সড়ক ও পোস্ট অফিস রোড পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি সাজিদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

সর্বশেষ খবর