সোমবার, ৪ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

বেনাপোলে সুনসান নীরবতা

ছুটি বাতিলের প্রভাব পড়েনি

বেনাপোল প্রতিনিধি

ঈদের টানা ৯ দিনের ছুটিতে বন্দর এলাকায় নেমে এসেছে সুনসান নীরবতা। ভারত আর বাংলাদেশের ট্রাকের দখলে থাকা বেনাপোলের একমাত্র সড়কটি যেন খাঁ খাঁ করছে। একই অবস্থা কাস্টমস হাউসে। সরকার ঘাটতি রাজস্ব পুষিয়ে নেওয়ার স্বার্থে কাস্টমস ও বন্দর কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করলেও তার কোনো প্রভাব পড়েনি বেনাপোলে। পচনশীল এবং বিদেশে রপ্তানিযোগ্য পণ্য খালাসের জন্য কাস্টমস ও বন্দর খুলে রাখা হলেও মালামাল খালাস নেওয়ার জন্য কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। অফিসের দরজা খুলে কর্মকর্তারা বসে থাকলেও সিএন্ডএফ এজেন্টদের অফিস ঘরগুলোতে ঝুলছে তালা।  সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারীরা অফিস না করায় ভারত থেকে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক গত ৩ দিন বাংলাদেশে প্রবেশ করেনি। কার্গো ঘরগুলোতে বসে অলস সময় কাটাচ্ছেন দুদেশের কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রামের বেশির ভাগ আমদানিকারক ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে। তারা চাচ্ছে না ঈদের সময়ে মালামাল বন্দর থেকে ডেলিভারি নিতে। এছাড়া সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্মচারী ও বন্দরের লেবাররা কাজে না আসলে মালামাল লোড দেওয়া সম্ভব না। অনেক আমদানিকারকের ফ্যাক্টরি কিংবা গোডাউন বন্ধ থাকায় তারাও চাচ্ছে না বন্দর থেকে মালামাল ডেলিভারি নিতে। বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সেক্রেটারি আজিম উদ্দিন গাজী বলেন, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী দেশের সব জাতীয় সড়কে ঈদের ৩ দিন আগে ও পরে সব ধরনের পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ করায় ট্রাক ড্রাইভাররা ট্রাক নিয়ে বেনাপোলে আসছেন না। ফলে আমদানিকারকদের চাহিদা থাকলেও ট্রাক ও বন্দর শ্রমিকদের অভাবে মালামাল লোড দেওয়া যাচ্ছে না। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার নিতিশ কুমার জানান, সিএন্ডএফ এজেন্টকে চিঠি দিয়ে অফিস খুলে রাখার বিষয়টি জানানো হলেও তারা পণ্য ছাড় না নেওয়ায় রাজস্ব আদায়ে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি তাদের কাজে ফেরাতে। বেনাপোল বন্দরের পরিচালক নিতাই চন্দ্র সেন বলেন, বন্দর ব্যবহারকারী  সংগঠনগুলো  বন্দর থেকে পণ্য খালাস নেওয়ার ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে কোনো রকম যোগাযোগ করছে না। এ কারণে বন্দর থেকে কোনো মালামাল খালাস দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর