সোমবার, ৪ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
ধামরাইয়ে যুবককে নির্যাতন

১১ দিনেও মামলা হয়নি পরিবারকে হুমকি

ধামরাই প্রতিনিধি

ঢাকার ধামরাইয়ে চোর সন্দেহে যুবককে গাছে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় ১১ দিনেও থানায় মামলা রেকর্ড করেনি পুলিশ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে রেজাউল করিম বাবু নামে এক যুবককে আটক করলেও পুলিশ ৫ ঘণ্টা পর ছেড়ে দিয়েছে। এখন সেই যুবক এলাকায় গিয়ে স্থানীয় লোকজন নিয়ে নির্যাতিত যুবকের মার দায়ের করা অভিযোগটি তুলে নিতে দফায় দফায় হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে পরিবারটি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে দিলরুবা বেগম বলেন, নির্যাতনের ফলে তার ছেলের একটি পা ভেঙে গেছে। এদিকে ধামরাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ রেজাউল হক গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে মোবাইল ফোনে জানান, নির্যাতিত যুবকের মা দিলরুবা বেগম গত বৃহস্পতিবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। গত ৩০ জুন তা তিনি নিজে থানায় এসে তুলে নিয়ে গেছেন। যার কারণে এ ঘটনায় মামলা রেকর্ড করা হয়নি। তবে ওসির কথা অস্বীকার করে নির্যাতিত যুবক আনিসের মা অভিযোগকারী দিলরুবা বেগম সাংবাদিকদের জানান, অভিযোগটি তুলে নেওয়া তো দূরের কথা রেজাউল করিম বাবু আটক হওয়ার খবর শোনার পর থানাতেই যাননি। তাহলে কীভাবে অভিযোগ তুলে নিলাম। আসলে আমরা গরিব মানুষ তাই ওসি সাহেব মামলা রেকর্ড করবেন না। থানায় মামলা না নিলে প্রয়োজনে আদালতে মামলা করব। তারপরও সরকারের কাছে এ নির্যাতনের বিচার চান তিনি। উল্লেখ্য, ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের নওগাঁওহাটী গ্রামে নিঠু মিয়ার ছেলে আনিসকে (২৬) একই গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিম বাবু মিয়া, সাগর আলীর ছেলে রফিক ও রিজিক আলীর ছেলে কাইয়ুম, হাছান আলীর ছেলে ফিরোজ ও হাবিবুর রহমানসহ ৫-৭ জন মিলে ফিরোজের মোবাইল ও স্থানীয় কৃষকদের শ্যালো ইঞ্জিন চুরি করার অভিযোগ এনে ২৩ জুন নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। তারপর নওগাঁওহাটী নবীন সংঘ ক্লাব ঘরের সামনে নিয়ে একটি গাছের সঙ্গে রশি দিয়ে হাত ও পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন শুরু করে। দিনভর নির্যাতনের পর ওইদিন বিকালে খবর পেয়ে ধামরাই থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

সর্বশেষ খবর