শিরোনাম
রবিবার, ১০ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

এবারও ঈদ করতে পারেননি ৬৩টি চরের মানুষ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

চারদিকে ঈদের আমেজ বিরাজ করলেও এ বছরও ঈদের আনন্দ ফিকে হয়ে আছে লালমনিরহাটের তিস্তা ধরলা বিধৌত ৬৩ টি চরের অসহায় মানুষের ভাগ্যে। নদীর মাঝখানে জেগে উঠা এসব চরবাসীর কপালে ঈদের আগেও  জোটেনি কোনো সাহায্য সহযোগিতা। সরকারের পক্ষ থেকে ২০ কেজি করে ভিজিএফ বরাদ্দ দেওয়া হলেও তাদের অধিকাংশই সে চাল পাননি। চরগুলোতে সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, নদীতে এখন ভরা পানি। সেই পানিতেই তাদের বাস। চরের প্রায় সব বাড়িতেই হাঁটু পানি। একাধিক ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের জানান, মসজিদ ঈদগাহ মাঠ পানির নিচে চলে যাওয়ায় তিস্তা ও ধরলার ৬৩ চরের অধিকাংশ মানুষই  ঈদের নামাজ পড়তে পারেননি। নদী ভাঙন আর বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো সহায় সম্বল হারিয়ে অনেকেই ঠাঁই নিয়েছেন উঁচু স্কুল ও বাঁধের উপর। তাদের দিন কাটছে  অনাহারে ,অর্ধাহারে। চর রাজপুরের বৃদ্ধ আয়মল আলী (৭৭) জানালেন, ঈদ আইসে হামাক কান্না দিবার, হামার পেটোত নাই খাবার, হামার আবার ঈদ কি বাহে। চর খুনিয়াগাছের ওসমান আলীসহ বেশ কয়েকজন জানান, এক বেলা খেয়ে না খেয়ে রোজা রাখলাম, অথচ অধিকাংশ চর পানিতে ডুবে থাকায় ঈদের নামাজও ঠিকমত আদায় করতে পারলাম না। ভিজিএফর ২০ কেজি চাল পাইছি, এটাই ছিল শেষ সম্বল। আমাদের মতো গরিবদের আনন্দ বলতে কিছু নাই।  নদীর মধ্যবর্তী এলাকায় বাস করেন লাখো মানুষ। দিন মজুর, জেলে ও আর  ক্ষেতখামারে কাজ করে খাবার জোটে তাদের। মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন জানান, চরের অভাবী মানুষগুলোর কিছু অংশ  হাঁটু পানি পার হয়ে ঈদের নামাজ পড়তে পারলেও পারেননি অধিকাংশই। একই কথা জানালেন সদরের রাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোফজ্জাল হোসেন ও খুনিয়াগাছ ইউপির চেয়ারম্যান খাইরুজ্জামান বাদল।

সর্বশেষ খবর