শনিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

তিস্তায় বিলীন ডিমলার টেপাখড়িবাড়ি এলাকা

নীলফামারী প্রতিনিধি

তিস্তায় বিলীন ডিমলার টেপাখড়িবাড়ি এলাকা

তিস্তায় বিলীন হচ্ছে স্থাপনা —বাংলাদেশ প্রতিদিন

নীলফামারীর ডিমলায় বন্যা ও বন্যা-পরবর্তী ভাঙনে একটি ইউনিয়নের সব বিলীন হয়ে গেছে তিস্তায়। সর্বগ্রাসী তিস্তা একূল ভেঙে ও কূল গড়ার ভয়ানক খেলায় মেতে উঠেছে। উপাজেলার তিস্তাবেষ্টিত টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের ছয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও উচ্চ বিদ্যালয়, কিন্টারগার্ডেন, বিজিবি ক্যাম্প, বাজার এবং ১০টি গ্রামের প্রায় ৫০০ পরিবারের বসতভিটাসহ রাস্তাঘাট পুল-কালভার্ট আবাদি জমি বিলীন হয়ে গেছে। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। আবার হঠাৎ পানি বিপদসীমার নিচে নেমে আসায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও এলাকার মানুষজন স্বেচ্ছাশ্রমে বালির বস্তা, বাঁশ ও গাছের পাইলিং করেও ভাঙন ঠেকাতে পারেনি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নায়েমা তাবাচ্ছুম শাহ বলেন, আমি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি, সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন, স্কুল, ক্লিনিক, বাজারসহ ক্ষতিগ্রস্ত সব প্রতিষ্ঠান ও রাস্তাঘাট, পুল-কার্লভাটের তালিকা তৈরি করতে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম সাহিনকে বলা হয়েছে। তালিকা হাতে পেলেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক নীলফামারী বরাবর তা পাঠানো হবে। এ বিষয়ে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, সরকারি সফরে শ্রীলঙ্কায় আছি। তবে সার্বক্ষণিক বন্যাকবলিত এলাকার খোঁজখবর নিচ্ছি এবং প্রয়োজন অনুযায়ী উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। ইতিমধ্যে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পাঠানোর জন্য উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত সব কিছুর তালিকা তৈরি হচ্ছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তালিকা পৌঁছানোর পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সর্বশেষ খবর