শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত বাড়ছে দুর্ভোগ

প্রতিদিন ডেস্ক

দেশের বিভিন্ন জেলায় কয়েকদিন ধরে চলা বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। দুর্ভোগ বাড়ছে দিনের পর দিন পানিবন্দী থাকা মানুষের। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বন্যাকবলিত এলাকার যোগাযোগ ও শিক্ষা ব্যাবস্থা। সংকট দেখা দিয়েছে খাবার-পানীয়র। প্রতিনিধিদের খবর—

নীলফামারী : ডিমলা উপজেলার তিস্তা অববাহিকায় সাতটি ইউনিয়নের ২৫ হাজার মানুষ দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন প্রায় এক মাস ধরে। দফায় দফায় তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ভেসে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চারটি ওয়ার্ডেও পাঁচ হাজার পরিবার। এদিকে পানি বৃদ্ধির সাথে দেখা দিয়েছে ভাঙন। তিস্তা ইতিমধ্যে গ্রাস করেছে ২২০০ একর আবাদি জমি, ৫০০ বসতবাড়ি, পাঁচটি বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনা। নতুন নতুন এলাকায় পানি প্রবেশ করায় অসহায় পয়ে পড়েছেন মানুষ। পাঠদানের উপযোগী না হওয়ায় স্কুলে আসা যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন শিক্ষার্থী। ডিমলা ও জলঢাকার সাত ইউনিয়নে গতকাল পর্যন্ত ৬৮ মেট্রিকটন চাল ও তিন লাখ ১৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া নীলফামারী-১ আসনের এমপি মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন ব্যক্তিগত তহবিল থেকে নগদ টাকা শাড়ি-কাপর বিতরণ করেছেন। বগুড়া : সারিয়াকান্দি ও ধুনটে যমুনা নদীর পানি গত ১২ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদসীমার চার সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে তলিয়ে যাচ্ছে ধুটনের চরবেষ্টিত কাজলা, কর্ণিবাড়ী, বোহাইল, চালুয়াবাড়ী এবং যমুনার তীরবর্তী সারিয়াকান্দি সদর, হাটশেরপুর, কুতুবপুর, কামালপুর ও চন্দনবাইশা এলাকার নিম্নাঞ্চল। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে যমুনার ভাঙন শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। সিরাজগঞ্জ : সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের দোরতা, বড় কয়ড়া-ছোট কয়ড়াসহ ৩১টি গ্রাম বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। ফসলী জমি পানিতে ডুবে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষকের। চরাঞ্চলের সব রাস্তা ৫-৭ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে। নৌকা ছাড়া এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িত যাতায়াত করা যায়না। অনেক ঘরবাড়িতে পানি ওঠায় দরিদ্র মানুষগুলো শুকনো খবার ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

সর্বশেষ খবর