সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

ট্রান্সমিশন লাইনের অভাবে বন্ধ সরবরাহ, ক্ষতি কোটি টাকা

তিতাস গ্যাসকূপ খনন সম্পন্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের আরও দুটি কূপের খনন কাজ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। কিন্তু খননকৃত কূপের গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, কূপ এলাকা থেকে ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণ কাজ না হওয়ায় বন্ধ রয়েছে গ্যাস সরবরাহ। এতে কোটি কোটি টাকা লোকসান গুণছে কর্তৃপক্ষ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরতলির নন্দনপুরে তিতাস গ্যাসের ২৫ ও ২৬ নম্বর কূপ অবস্থিত। গত এপ্রিলে ২৫ নম্বর আর জুনের শেষ দিকে সম্পন্ন হয় ২৬ নম্বর কূপের খনন কাজ। এ দুটি কূপ থেকে প্রতিদিন ৪৫/৫০ ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ সম্ভব। নিয়মানুযায়ী কূপ খনন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করা হয়।  কবে নাগাদ ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণ শেষ হবে তা বলতে পারছে না সংশ্লিষ্ট কেউ। এখন পর্যন্ত ট্রান্সমিশন লাইনের জমি অধিগ্রহণ শেষ হয়নি। তাই কাজ শেষ হতে কয়েক মাস লাগতে পারে।  সূত্র জানায়, ২৫ নম্বর কূপ থেকে ২০/২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস গ্রিডে সরবরাহ করা যাবে। ২৬ নম্বর কূপে মজুদ ভালো পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন এক কর্মকর্তা। ডিরেক্টশনাল পদ্ধতিতে তিন হাজার ৮৪৮ মিটার মাটির তলদেশ অতিক্রম করেছে এ কূপের পাইপ লাইন। সংশ্লিষ্টরা আশা করেন ২৬/২৭ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মিলবে ২৬ নম্বরকূপ থেকে। জানা যায়, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড তাদের উৎপাদিত গ্যাস তিতাস, বাখরাবাদ, জালালাবাদ, পশ্চিমাঞ্চল ও জিটিসিএলের কাছে বিক্রি করে। প্রতি মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ২৩ হাজার ৫০০ টাকা হিসাবে গত সাড়ে তিন মাসে একটি কূপ থেকেই ছয় কোটি ১৬ লাখ ৮৭ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে ২৬ নম্বর কূপের গ্যাস সরবরাহ করতে না পারায় ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে অন্তত এক কোটি টাকা। তিতাস ফিল্ডের রয়েছে ২৩টি কূপ। এর মধ্যে দুটির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। বর্তমানে তিতাস ফিল্ড থেকে জাতীয় গ্রিডে যোগ হচ্ছে ৫২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। যা দেশের জ্বালানি চাহিদার ৩১ ভাগ পূরণ করছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার ও এডিবির অর্থায়নে যে চারটি কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয় এরমধ্যে প্রথম দুটি ২৫ ও ২৬। অন্য দুটির খনন কাজ শিগগিরই শুরু হবে।

এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪৮০ কোটি টাকা। সবগুলোর কূপ খনন শেষ হলে জাতীয় গ্রিডে অন্তত ১০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যোগ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। খনন কাজ করছে চীনের সিনোফ্যাস্ক ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম করপোরেশন।

সর্বশেষ খবর