মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

পাড়ে মন্দিরঘর বানিয়ে পুকুর দখলের চেষ্টা

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ফকদনপুর পটুয়া এলাকায় এক সাবেক ইউপি সদস্যর বিরুদ্ধে পুকুরপাড়ে মন্দির বসিয়ে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার গভীর রাতে কয়েকজন দুর্বৃত্ত একটি বাঁশের ঘর তৈরি করে মূর্তি বসিয়ে মন্দির বানিয়েছে এমন অভিযোগ করেন পুকুরের মালিক রফিকুল আলম। এ নিয়ে মুসলিম ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় ওই এলাকায়। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ফকদনপুর পটুয়া এলাকায় রফিকুল আলমের পৈতৃক জমি হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ওই পুকুরে মাছ চাষ করে আসছেন। কিন্তু কতিপয় ব্যক্তি ওই পুকুর দখল করার জন্য উঠেপড়ে লাগে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ পুকুর দখলকে কেন্দ্র করে আদালতে মামলাও চলে। আদালত মামলায় রায় রফিকুল আলমের পক্ষে দেয়। ফলে ক্ষুব্ধ হয় সাবেক ইউপি সদস্য কৈলাশ। সে গত শনিবার ভোর রাতে কিছু লোকজন নিয়ে একটি বাঁশের ঘর তৈরি করে দুটি মূর্তি দিয়ে অস্থায়ী মন্দির স্থাপন করে পুকুরপাড়ে।  পটুয়া এলাকার প্রবীণ ব্যক্তি জগেণ চন্দ্র জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পুকুরপাড়ে কে বা কারা রাতারাতি মন্দির তুলেছে আমরা জানি না। কিন্তু সকাল বেলা মন্দির দেখে আমরা অবাক হয়েছি। পুকুরপাড়ে আগে কখনো মন্দির ছিল না। পাশের এক মন্দিরের পুরোহিত ভবেশ জানান, সাবেক মেম্বার কৈশাল পুকুরপাড়ে মন্দির স্থাপন করেছে। কিন্তু হঠাৎ কেন এই মন্দির স্থাপন করলো আমরা বুঝতে পারছি না। এতে আমাদের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হবে। পুকুরের মালিক রফিকুল ইসলাম জানান, বাপ-দাদার আমল থেকে আমরা পুকুরটি ভোগদখল করে আসছি। এই পুকুর নিয়ে দুটি মামলাও চলেছে। আদালত আমার পক্ষে দুটি মামলারই রায় দিয়েছে। কিন্তু কৈলাশ মেম্বার রাতারাতি পুকুর দখলের জন্য মন্দির তৈরি করেছে। সাবেক ইউপি সদস্য কৈলাশ জানান, এই পুকুর নিয়ে মামলা চলছে দীর্ঘদিন। পূজার জন্য অস্থায়ীভাবে একটি মন্দির স্থাপন করা হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেছেন। রহিমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান হান্নু জানান, আমিও জানতে পেরেছি এই ইউনিয়নে এক সাবেক ইউপি সদস্য নাকি একটি পুকুরপাড়ে অস্থায়ী মন্দির স্থাপন করেছে। বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আলোচনায় বসে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।

সর্বশেষ খবর