শনিবার, ৬ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

সোনারগাঁয়ে দুই হত্যার কারণই আঘাতজনিত

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় মাদক বিক্রেতা আখ্যা দিয়ে পুলিশের ধাওয়ায় পান দোকানদার আবদুল মতিনের মৃত্যুর ঘটনায় বের হয়ে আসতে শুরু করেছে নানা তথ্য। মতিনের স্বজনদের দাবি, কনস্টেবল আরিফুর রহমানকে বহনকারী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় খাদে পড়ে যান মতিন। এর প্রতিবাদ করায় মতিনকে হাঁটু জল সমান পানিতে চুবিয়ে হত্যা করা হয়। আর কনস্টেবল আরিফকে গ্রামবাসী গণধোলাই দিয়ে হত্যা করে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক প্রতিবেদনে মতিন ও কনস্টেবল আরিফ দুজনকেই হত্যার সিমটম পাওয়া গেছে। দুজনের মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিসত্ক। ঘটনা তদন্তে গঠিত জেলা পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘটনে কাজ করে যাচ্ছে।

এদিকে কনস্টেবল আরিফকে হত্যার ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় দায়ের করা মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ ৪৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। কিন্তু  ঘটনার তিন দিন পার হয়ে গেলেও মতিন হত্যার ঘটনায় স্বজনরা কোনো মামলা করতে থানায় যেতে পারেননি। এ ছাড়া পুলিশ বাদী হয়েও মতিন হত্যার ঘটনায় কোনো মামলা করেনি। অপরদিকে মতিনকে পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিলেও মতিনের বিরুদ্ধে অতীতে কোনো মাদক মামলা বা একটি জিডি পর্যন্ত নেই বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।

প্রসঙ্গত, গত ৩ আগস্ট বিকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার রাইজদিয়া গ্রামের মোছলেউদ্দিনের ছেলে আবদুল মতিনকে (৪৮) মাদক ব্যবসায়ী আখ্যা দিয়ে ধাওয়া দেয় সোনারগাঁ থানা পুলিশের এএসআই ফখরুল ইসলাম ও কনস্টেবল আরিফ। এতে পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, পুলিশের ধাওয়ায় অতিরিক্ত মাদক সেবন অবস্থায় মতিন পানিতে লাফ দিয়ে ডুবে মারা যান। কিন্তু মতিনের স্ত্রী নুরতাজ প্রত্যক্ষ ঘটনার সাক্ষী হয়ে দাবি করেন, সোনারগাঁ থানা পুলিশের এএসআই ফখরুল ইসলাম ও কনস্টেবল আরিফকে বহনকারী মোটরসাইকেলের ধাক্কায় খাদে পড়ে যান মতিন। খাদ থেকে উঠে এসে প্রতিবাদ করায় কনস্টেবল আরিফ মতিনকে চুবিয়ে হত্যা করে। পরে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর হাত থেকে রক্ষা পেতে কনস্টেবল আরিফ নৌকা নিয়ে বিলের মধ্যে আশ্রয় নেন। অবস্থা বেগতিক দেখে মোটরসাইকেলযোগে পালিয়ে যান এএসআই ফখরুল। নৌকা থেকে নামতে চাইলে গ্রামবাসী আরিফকে ইটপাটকেল ছুড়ে গণধোলাই দেয়।

সর্বশেষ খবর