সোমবার, ৮ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

ঘোড়াঘাটে নানার গ্রামে শফিউলের লাশ দাফন

দিনাজপুর প্রতিনিধি

শোলাকিয়া হামলায় আটকের এক মাস পর  ময়মনসিংহের নান্দাইলে ক্রসফায়ারে নিহত ‘জঙ্গি’ আবু  মোকাদ্দেল ওরফে শফিউল ইসলাম ওরফে সোহানের জানাজা ও দাফন কার্য দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে নানাবাড়ী বৈদর গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার মধ্যরাত সাড়ে ১২টার দিকে জানাজা শেষে ১২টা ৩৫ মিনিটে শফিউল ইসলামের দাফন করা হয়। এর আগে কড়া পাহারায় ময়মনসিংহ থেকে মা নার্গিস  বেগম শিউলী ছেলে শফিউলের লাশ নিয়ে শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় নানা মন্টু মিয়ার বাড়ি বৈদর গ্রামে  পৌঁছেন। জানাজা ও দাফন কার্যে ৭০-৮০ জন লোক সমবেত হন বলে জানা গেছে। তার জানাজা পড়ান প্রতিবেশী সম্পর্কে নানা শাহারুল ইসলাম। শফিউলের বাড়ি দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রানীগঞ্জ বাজারের পাশে দক্ষিণ দেবীপুর গ্রামের উত্তরপাড়ায়। মূল বাড়ি ঘোড়াঘাট উপজেলার ৩ নম্বর সিংড়া ইউনিয়নের মারুপাড়া গ্রামে। পাঁচ বছর ধরে তারা বসবাস করছেন রানীগঞ্জ বাজারের পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ দেবপুর এলাকায়। জানা যায়, দাখিল পাস করার পর থেকেই বাড়ি ছেড়ে নিরুদ্দেশ ছিল শফিউল। বিরামপুর উপজেলার বিজুল দারুল হুদা কামিল মাদ্রাসায় পড়ত। গত আড়াই বছর ধরে নিখোঁজ ছিল সে। তার বাবা আবদুল হাই প্রধান পেশায় রেডিও-টিভির ইলেট্রিক মিস্ত্রি। গত ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ে বিভিন্ন হামলার ঘটনায় করা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি হওয়ায় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া হামলার পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘোড়াঘাট থানার ওসি নুরুজ্জামান জানাজা ও দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই ঈদের দিন কিশোরগঞ্জের  শোলাকিয়া ঈদগাহের অদূরে আজিমুদ্দিন স্কুলের পাশে পুলিশ সদস্যদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ হামলার ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য, এক নারী ও সন্ত্রাসীসহ চারজন নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক করা হয় সন্দেহভাজন হামলাকারী শফিউলকে। ময়মনসিংহের নান্দাইলে র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার আসামি শফিউল ইসলাম।

সর্বশেষ খবর