নাশকতার মামলায় গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিএনপি-জামায়াতের ১৬ নেতা-কর্মীকে চার বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আনাদায়ে আরও তিন মাসের দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। গাইবান্ধার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মইনুল হাসান ইউসুফ গতকাল এ রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত নেতাকর্মীর মধ্যে ১৩ জন পলাতক। বাকি তিনজনের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করা হয়। গ্রেফতাররা হলেন— পরান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামায়াত নেতা আবদুল মান্নান, ভুরারঘাট মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাকোয়াত হোসেন ও সাবাকাত হোসেন। পলাতক আসামিরা হলেন— জামায়াত কর্মী মুছা, ছামিউল, নুরুল, খাদেমুল, এনামুল, নুরুন্নবী, নবীনুর, ইমরান, সোহরাব, বিএনপি নেতা ইমতিয়াজ, জাহাঙ্গীর, শরিফ ও মতিয়ার। দ্রুত বিচারক ট্রাইব্যুনাল আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) রেজা মিয়া জানান, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জামায়াতে নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদির ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে আসামিরা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাণ্ডব চালায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে নাশকতার মামলা করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী মঞ্জুর মোর্শেদ বাবু বলেন, তারা রায়ে সন্তুষ্ট নন। উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।