বুধবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

রংপুরে ৩৯ রেলক্রসিংয়ের ৩০টিই অরক্ষিত

১ মাসে দুর্ঘটনায় নিহত ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর

রংপুরের রেলক্রসিংগুলো অরক্ষিত হয়ে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন। জেলার ৩৯ রেলক্রসিংয়ের ৩০টিই অরক্ষিত। গত এক মাসে চারটি রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় ১০ জন নিহত ও সাতজন আহত হয়েছেন। এছাড়া মারা গেছে ছয়টি গরু।

রংপুর রেলওয়ের প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৩৯টি রেলক্রসিং দিয়ে প্রতিদিন আন্তঃনগরসহ ৩০টি যাত্রীবাহী এবং কয়েকটি মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। গেটম্যান না থাকায় ৩০টি রেলক্রসিং হয়ে পড়েছে অরক্ষিত। উল্লেখযোগ্য অরক্ষিত রেলক্রসিংগুলো হলো— খোর্দ্দ বালাপাড়া, সাব্দি, শহীদবাগ বাজার, চেয়ারম্যানবাড়ি, সাধুর মোড়, মীরবাগ বীজলের ঘুণ্টি, মোফাজ্জল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, মজির গেট, কুলিপাড়া, বাধক্রসিং, বল্লভবিষু, আমবাড়ি, চৌধুরানী, বিনোদপুর, লালবাগ বালাবাড়ি, শ্যামপুর, খোপাতি, শিবু কুঠিরপাড়া।  গেটম্যান না থাকায় এসব ক্রসিংয়ে সব ধরনের যানবাহন ও মানুষ নিজ দায়িত্বে চলাচল করছে। অরক্ষিত রেলক্রসিং এলাকায় সড়কের মধ্যে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘সাবধান’। এই গেটে কোনো গেটম্যান নাই। পথচারী ও যানবাহনের চালক নিজ দায়িত্বে পারাপার হবেন।

রেলওয়ে থানা ও ফাঁড়ি সূত্রে জানা যায়, সব শেষ গত শনিবার রাতে কাউনিয়ার শিবু কুঠিরপাড়া ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেসের ধাক্কায় নসিমনের চালকসহ চারজন নিহত হন। আহত হন আরও চারজন। মারা গেছে ছয়টি গরু। এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যায় পীরগাছার চৌধুরানী রেলক্রসিংয়ে আন্তঃনগর দোলনচাপার ধাক্কায় ট্রলিচালক আমিনুল নিহত হয়। ওই ঘটনায় আহত মমিনুল রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। এছাড়া সাতমাথা আমবাড়ি, খোপাতি, বিনোদপুর রেলক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছেন পাঁচজন।  নগরীর সাতমাথা আমবাড়ি রেলক্রসিং এলাকার পানদোকানি শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যখন ট্রেন আসে আমরাই চিল্লাচিল্লি (চিৎকার) করে মানুষজনকে জানিয়ে দিই ট্রেন আসার খবর।’ রংপুর রেলওয়ে স্টেশনের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল জব্বার বলেন, জনবল সঙ্কটে বেশিরভাগ রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান না থাকায় সেগুলো অরক্ষিত হয়ে পড়েছে।

সর্বশেষ খবর