শনিবার, ২৭ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

লোডশেডিংয়ে নাকাল শেরপুরবাসী

শেরপুর প্রতিনিধি

কয়েক দিন ধরে শেরপুর জেলার সর্বত্র দেখা দিয়েছে ভয়াবহ লোডশেডিং। একদিকে গরম, তার ওপর লোডশেডিংয়ে নাকাল হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিন-রাতের অধিকাংশ সময় বিদ্যুৎ থাকছে না। একবার বিদ্যুৎ গেলে ৩-৪ ঘণ্টা থাকে লোডশেডিং। এভাবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫/৬ বার বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।  জানা যায়, জেলা শহরে পিডিপি ও পল্লী বিদ্যুৎ লাইনে দিনে ১২/১৩ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও অন্য উপজেলার অবস্থা আরও করুণ। ওই সব উপজেলায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫-৭ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। প্রচণ্ড গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাচ্ছেন শিশু-বৃদ্ধরা। শেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মাসরুল হক জানান, জেলায় ২৪ থেকে ২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ১১-১২ মেগাওয়াট।

শেরপুর পিডিপির নির্বাহী প্রকৌশলী ইন্দ্রজিৎ দেবনাথ জানান, আশুগঞ্জ থেকে যে লাইনটি এসেছে তার ধারণ ক্ষমতা ১৩২ কেভি। এই লাইনটিতে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে লোড বেশি হওয়ায় ও শম্ভুগঞ্জ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ কম থাকায় সমস্যা হচ্ছে। উৎপাদন কমের জন্য নয়, সিস্টেমের জন্য লোডশেডিং হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

রায়পুরে ১ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ৩ ঘণ্টা লোডশেডিং

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি জানান, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ১ ঘণ্টা পরপর ৩ ঘণ্টা লোডশেডিং। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বিদ্যুতের এটা এখন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। দিনের বেলায়ও লোডশেডিং থেকে রেহাই নেই উপজেলাবাসীর। ১৫ দিন ধরে দৈনিক গড়ে ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছাড়া থাকতে হয় তাদের।

রায়পুর পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় প্রায় ৩৭ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। তাঁদের চাহিদা প্রায় ১৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৬ মেগাওয়াট। রায়পুর পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের (ডিজিএম) সুদাশ চন্দ  দীক্ষিত বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। শিগগিরই অবস্থার উন্নতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সর্বশেষ খবর