মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

মৌলভীবাজার পাসপোর্ট অফিসে হয়রানি

ঝিনাইদহে ১১ দালাল আটক

মৌলভীবাজার ও ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

মৌলভীবাজার অঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালদের দৌরাত্ম্য কিছুতেই যেন থামছে না। অফিসের ভেতরে-বাইরে, এমনকি রাস্তার ওপরও দালালদের সরব উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। পাসপোর্টের টাকা জমা দেওয়া থেকে শুরু করে তা হাতে পাওয়া পর্যন্ত সব জায়গাতেই রয়েছে দালালদের অবাধ বিচরণ। যার ফলে জেলার ৬৭ ইউনিয়ন থেকে আগত অল্প শিক্ষিত গ্রাহকদের হয়রানির শিকার হতে হয় প্রতিনিয়ত। অভিযোগ রয়েছে, পাসপোর্ট অফিসের আনসার সদস্য ও কিছু অফিস স্টাফের সঙ্গে দালালদের যোগসাজশ রয়েছে। দালালরা মূলত তাদের মাধ্যমেই পাসপোর্টের সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকে। এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার অঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, আমি নতুন এসেছি। এ পর্যন্ত আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। তিনি বলেন, আমাদের স্টাফদের সেবা করার মানসিকতার কিছুটা হলেও অভাব রয়েছে। কিছু দিনের মধ্যে এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠব।

এদিকে ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে হয়রানি ও ভোগান্তির শেষ নেই। হয়রানি ও ঘুষের অভিযোগ পেয়ে গতকাল পাসপোর্ট অফিসে অভিযান চালায় র‌্যাব-৬। এ সময় আটক করা হয় ১১ দালালকে। তারা হলেন, লাল চাঁদ, দিপঙ্কর, স্বপন কুমার, শামছুল, আনোয়ার, সাধন, তাজুল, সজল, জিল্লুর রহমান, টরি ও জয়দেব কুমার। তাদের প্রত্যেককে একমাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। র‌্যাব-৬ এর ঝিনাইদহের অধিনায়ক মেজর মনির আহম্মেদ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেজবাউল করিম অভিযানে নেতৃত্ব দেন। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, এক বছর আগে ফাইল প্রতি ৮০০ টাকা করে ঘুষ আদায় করা হত। বর্তমানে নেওয়া হচ্ছে ৯০০ টাকা করে। ফাইলপ্রতি ঘুষের রেট বাড়ানো হয়েছে ১০০ টাকা করে। এ হিসাবে দিনে আনুমানিক দুই লাখ টাকা করে ঘুষ আদায় হচ্ছে।

অফিসের বিশেষ একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, প্রতি সপ্তাহে ঘুষের টাকা ভাগাভাগি হয়। এর মধ্যে সহকারী উপ-পরিচালক পান ৬০% ও বাকি ৪০% টাকা সাধারণ স্টাফরা ভাগ করে নেন। তবে ঝিনাইদহ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী উপ-পরিচালক আবদুল মোত্তালেব সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, কে কোথায় ঘুষ নেন তা আমার অজানা।

সর্বশেষ খবর