চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা ও মহানন্দা নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে উপদ্রুত এলাকা থেকে নামতে শুরু করেছে বন্যার পানি। এতে করে বন্যা উপদ্রুত নিম্নাঞ্চলের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসছে। তবে সাপ আতঙ্কে ভুগছেন প্লাবিত এলাকায় বসবাসকারীরা। কারণ ইতিমধ্যে সাপের দংশনে ৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অন্যদিকে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন নদী তীরবর্তী মানুষ। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ সাহিদুল আলম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় পদ্মা নদীর পানি ৯ সেন্টিমিটার এবং মহানন্দা নদীর পানি ৭ সেন্টিমিটার কমেছে। তিনি আরও জানান, এই হারে পানি কমতে থাকলে দ্রুত বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। তবে নদী ভাঙন দেখা দেওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজশাহী : পদ্মায় পানি কমতে শুরু করেছে। বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত পানি কমেছে ৮ সেন্টিমিটার। আগের দিন পানির প্রবাহ ছিল ১৮ দশমিক ৩৫, বৃহস্পতিবার ছিল ১৮ দশমিক ২৭ সেন্টিমিটার। শহর রক্ষা বাঁধের মেরামত কাজ এখনো চলছে। আর এনিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী।
গতকাল বিকালে শহর রক্ষা বাঁধের সংস্কার কাজ পরিদর্শন করতে এসে পাউবোর প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জানান, বাঁধটি এখন ঝুঁকিমুক্ত। তারা ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছেন। বর্ষা মৌসুম পার হলে বাঁধটিকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রকল্প নেওয়া হবে। তবে দুর্ভোগে পড়া মানুষরা ত্রাণ না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন। চরাঞ্চলের দুর্গতরা ত্রাণ পেলেও নগরীর মানুষরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। তালাইমারী, বুলনপুর, কাজলা, শ্যামপুর এলাকার লোকজনের অভিযোগ তারা এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ পাননি। তবে বিভাগীয় কমিশনার আবদুল হান্নান জানান, ত্রাণের কোনো সমস্যা নেই। ত্রাণ দিতে দেরি হবে বলে সরকার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, প্রত্যেকের কাছে ত্রাণ যাচ্ছে। প্রয়োজন হলে বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে।