সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

চরফ্যাশনে ঘাটে ঘাটে ইলিশ উৎসব

এম আবু সিদ্দিক, চরফ্যাশন (ভোলা)

চরফ্যাশনে ঘাটে ঘাটে ইলিশ উৎসব

আড়তে ইলিশের স্তূপ —বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশের রপ্তানিযোগ্য ইলিশের শতকরা ৩০ ভাগের জোগান দেওয়া হয় ভোলা উপকূল থেকে। যার বেশির ভাগ আসে চরফ্যাশনের সামরাজ, বকশি, ঢালচর, চর কুকরী ঘাট থেকে। জ্যৈষ্ঠের শুরু থেকে আশ্বিনের শেষ পর্যন্ত চলে ইলিশের ভরা মৌসুম। এ সময় ঘাটে ঘাটে ভিড় করে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা অন্তত ২০ হাজার জেলে। আড়তদার এবং কেরিং পার্টির লোকজনের ব্যাপক সমাগম ঘটে মৎস্য ঘাটগুলোতে। চরফ্যাশনের সাগর মোহনায় ইলিশের মৌসুমে অন্তত ৩০-৩৫ হাজার বহিরাগত জেলের সমাগম ঘটে। গত দুই দিন ধরে জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। এতে জেলেদের মুখে হাসি ফুটলেও বিপুল পরিমাণ ইলিশ পাইকারি বিক্রি করে লোকসান গুনছেন মহাজনরা। উপকূলের জেলেসহ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সুখ-দুঃখ সবকিছুই যেন ইলিশনির্ভর। চরফ্যাশন উপকূলের সবচেয়ে বড় মৎস্য বন্দর সামরাজ, বকশি, ঢালচর, মনুরা, চর-পাতিলা, গাছির খাল, কুকরী, বেতুয়াসহ ১৫-২০টি মৎস্য ঘাট।

চর-পাতিলার নূরে আলম বেপারী জানান, ১ কেজির বেশি ওজনের গ্রেড ইলিশের হালি ছিল ৪ হাজার টাকা, কেজির নিচে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত ইলিশের হালি ছিল ১ হাজার ৬০০ টাকা। কিন্তু কেজির বেশি ওজনের গ্রেড ইলিশের হালি ২ হাজার ৮০০ টাকা, কেজির নিচে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত ইলিশের হালি ১ হাজার ২০০ টাকা এবং ৫০০ গ্রামের নিচে জাটকা ইলিশের হালি ৭০০ টাকা।

মৎস্য ব্যবসায়ী আবুল হাসেম মহাজন জানান, এই ঘাটে ইলিশের ব্যাপক আমদানিতে মহাজনদের লোকসান গুনতে হচ্ছে। শনিবার চর-পাতিলা, ঢালচর, কুকরী, সামরাজ ও বকশি ঘাটে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গত ১০ বছরে এই পরিমাণ ইলিশ ভোলার উপকূলে ধরা পড়েনি। জেলে পল্লীগুলোতে চলছে ইলিশ উৎসব।

সর্বশেষ খবর