কদিন আগেও সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাধুলা আর আনন্দ-হাসিতে মেতে থাকত। লেখা-পড়ায় ছিল ভালো। বড় হয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন ছিল তার। ইচ্ছা ছিল দরিদ্র বাবার দুঃখ ঘোচানোর। কিন্তু এক দুর্ঘটনায় থমকে গেছে তার সব স্বপ্ন। বাড়ির পাশে একটি দ্বিতল ভবনের ছাদে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে এখন গুরুতর অসুস্থ সে। হাঁটুর নিচ থেকে একটি পা কেটে ফেলতে হয়েছে। পুড়ে গেছে ডান কাঁধের এক অংশের হাড়। এখনো শুকায়নি তার পোড়া ঘা। বরগুনার আমতলী উপজেলার একে পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া (১২)। বাবা শামীম হাওলাদার কাজ করেন ঢাকার একটি স্টিল মিলে। গত ১০ মে বাড়ির কাছে একটি দ্বিতল ভবনের ছাদে খেলতে গিয়ে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয় সুমাইয়া। বিষয়টি অবগত হয়ে সুমাইয়ার চিকিৎসা ও পড়াশোনার জন্য স্থানীয় বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বরগুনার জেলা প্রশাসক ড. বশিরুল আলম ও পুলিশ সুপার বিজয় বসাক। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সুমাইয়ার জন্য যথাসম্ভব তার উন্নত চিকিৎসা করানোর চেষ্টা করব। সবাই মিলে সুমাইয়ার পাশে দাঁড়ালে সে সুস্থ হয়ে উঠবে। চালিয়ে যেতে পারবে পড়াশোনাও।