শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

খানাখন্দে বেহাল মহাসড়ক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

খানাখন্দে বেহাল মহাসড়ক

গর্ত ও খানাখন্দে যান চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক

আট কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয়েছিল সড়ক পথে দেশের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার খ্যাত কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক। বছর না ঘুরতেই খানাখন্দে বেহাল হয়ে পড়েছে এই মহাসড়ক। কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের ১৮ কিলোমিটার অংশেরও একই অবস্থা। এ সড়কটি ২০১৪ সালে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয়েছিল। যত দিন যাচ্ছে সড়কের অবস্থা খারাপ হচ্ছে। জানা যায়, সিলেটের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কের কুষ্টিয়া অংশের মজমপুর গেট থেকে ইসালামী বিশ্ববিদ্যালয় গেট পর্যন্ত সংস্কার কাজ করে। গত বছর কাজ চলাকালে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। সে সময় বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও সংশ্লিষ্টরা আমলে নেননি। তবে সড়ক সংস্কারে অনিয়ম হয়নি-এমন দাবি করে সড়ক ও জনপথ কুষ্টিয়া উপবিভাগীয় প্রকৌশলী দেব দয়াল বলেন, সওজের ঢাকার নীতিনির্ধারকরা সঠিক সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় প্রতিবছর সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, নিম্নমানের সংস্কার কাজ আর ভারী যানবাহন চলায় মহাসড়কটির অবস্থা খুবই নাজুক। কয়েকদিন টানা বৃষ্টিতে রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়েছে। ৩ থেকে ৬ ইঞ্চি গভীর এসব গর্ত এখন মরণফাঁদ। গাড়ি চালানো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে চৌড়হাস মোড়, বটতৈল, আলামপুর ও লক্ষ্মীপুর এলাকার অবস্থা খুবই খারাপ। এ কর্মকর্তা আরও জানান, একই অবস্থা ২০১৪ সালে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহসড়কের। বিশেষ করে শহরের পুলিশ লাইনের আগে ও সামনে কয়েকটি বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। এসব গর্তের কারণে প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। সৃষ্টি হচ্ছে যানজট। এ দুটি মহাসড়কে প্রতিদিন শত শত যানবাহন চলছে ঝুঁকি নিয়ে। মারাত্মক ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এ সড়কে চলাচলকারীরা। আসন্ন ঈদে ঘরেফেরা মানুষের পোহাতে হবে দুর্ভোগ। সওজের লোকজন কিছু খানাখন্দ ভরাট করলেও ২-৪ দিনের মধ্যেই আবার গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর